
The Truth of Bengal: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ।তিস্তা,তোর্সা,জলঢাকার মতো নদীতে জলস্ফীতি বন্যা পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর করে তুলেছে।ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে আলিপুরদুয়ার,কোচবিহার,জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকা।একদিকে,ভুটান-সিকিম থেকে পাহাড়ের জল উত্তরবঙ্গের সমতলে ঢুকছে।সঙ্গে পাহাড়-সমতলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের মানুষ। কারণ এরমধ্যে জলপাইগুড়িতে তিস্তা-জলঢাকা নদীর জল বিপদসীমা ছুঁয়ে গেছে।
জলবন্দি হয়ে পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের দশ হাজার বেশি মানুষ। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। পরিস্থিতি যাতে নাগালে থাকে সেজন্য প্রশাসনিক স্তরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।এর পাশাপাশি,বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম পাঠাচ্ছে নবান্ন।টিমের নেতৃত্ব দেবেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। থাকছেন কৃষি ও সেচ সচিবরা। টুইট করে গোটা বিষয়টা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, তিনি নিজে গোটা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। মুখ্যসচিবও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার সব রকম চেষ্টা করছে প্রশাসন।
একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন,উত্তরবঙ্গে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় নদী গুলোতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে।অনেক এলাকায় রাস্তাতেও নদীর জল বইতে শুরু করেছে।সাধারণ মানুষের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন।জেলা শাসক,পুলিশ সুপাররা পরিস্থিতি লক্ষ্য রাখছেন,চলছে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ। সেচ মন্ত্রীর নেতৃত্বে ও অন্যান্য আধিকারিকদের নেতৃত্বে উচ্চস্তরীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমও পাঠানো হচ্ছে ।তাই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নেতৃত্বাধীন টিম সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যে রিপোর্ট দেবে তাই দেখেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রশাসনিক স্তরে জানা যাচ্ছে।