রাজ্যের খবর

Fagu Tea Garden: ঘুরে আসুন কালিম্পংয়ের ফাগু চা বাগান

Fagu Tea Garden

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফাগু চা বাগানের নাম শুনেছেন? না শুনে থাকলে ছুটি পেলেই  একেবারে বেড়িয়ে পড়ুন এই ছোট্ট চা বাগানের পাহাড়ি গ্রামে । ডুয়ার্স অঞ্চলের মধ্যে আপার ও লোয়ার ফাগু চা বাগান রয়েছে। এখানকার চা বাগানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। চা বাগানের বাংলোতে রাতও কাটানোরও সুযোগ রয়েছে এখানে। তাহলে এবার  পরবর্তী অফবিট ডেসটিনেশন হিসাবে বেঁছে নিন গরুবাথানের কাছেই  এই ফাগু চা বাগান।

ঘিঞ্জি শহরের কোলাহল থেকে পালাতে চাইছেন? তবে চলুন,  এবার যাওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স অঞ্চলের   ফাগুতে ।  শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে জঙ্গুলের পথে পাহাড়-জঙ্গলের লুকোচুরির সফরে পৌঁছে যাবেন ফাগু চা বাগানে । হিমাচল প্রদেশের ফাগুর কথা অনেকে জানলেও  পশ্চিমবঙ্গে ফাগু চা বাগানের  নাম শোনেনি এমন অনেকেই আছেন। তাই দেরি না করে অল্পদিনের ছুটি পেলেই সবুজ ঘেরা ফাগু চা বাগান  উপভোগ করে আসুন। ডুয়ার্স অঞ্চলের মধ্যে আপার ও লোয়ার ফাগু চা বাগান রয়েছে। এখানকার চা বাগানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। কালিম্পং মহকুমার গরুবাথানের কাছেই অবস্থিত এই ফাগু চা বাগান। লাভা থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটারের পথ।

আসলে ফাগু চা বাগানটি হল ব্রিটিশ আমলের। আজও চা বাগানের মাঝে ব্রিটিশ আমলের দুএকটা বাংলো আছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরের দিকে তাকালেই মনে হবে কুয়াশা যেন পলকে মিশে যাচ্ছে দূরে পাহাড়ের গায়ে। পায়ে হেটেই ঘুরে নিতে পারবেন এই চা বাগান ঘেরা ফাগু অঞ্চল। পাহাড়ের পাকদণ্ডি বেয়ে একটু খোলা জায়গায় আসতেই সামনেই ধাপে ধাপে চাষের জমি সিঁড়ির মতো নেমে গিয়েছে। আধো কুয়াশার মাঝে ঢেউ খেলানো পাহাড়।চা বাগানের বাংলোতে রাতও কাটানোরও সুযোগ রয়েছে এখানে। প্রায় ১০০ বছরের পুরনো বাংলো রয়েছে এই চা বাগানে।

এই গ্রামের পিছন দিয়ে বয়ে চলেছে চেল নদী। নদীর উপর একটা ছোট্ট লোহার ব্রিজ রয়েছে । পাগল করা হাওয়া এলোমেলো করে দেবে সব কিছু। নদীর পাড়ে বসে টাটকা ভেজ মোমোর স্বাদ নিতে পারবেন৷ফাগুর খুব কাছেই রয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান। হাতে একদিন বেশি সময় নিয়ে বেড়াতে  যেতে পারেন গরুমারায়। গরুমারায় জঙ্গল সাফারি করলে দেখা মিলবে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও পাখির। যদিও ফাগু হোমস্টেতে বসেও দেখতে পারেন বিভিন্ন প্রজাতির  এখন প্রশ্নটা হল যাবেন কিভাবে? ট্রেনে চেপে ফাগু যেতে চাইলে আপনাকে নামতে হবে নিউ মাল জংশনে। দু’পাশের ঢেউ খেলানো চা বাগানের পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে গরুবাথান মোড়ের দিকে। গরুবাথান মোড় পেরিয়েই দেখা মিলবে চেল নদীর। এখান থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার এগোলেই পৌঁছে যাবেন লোয়ার ফাগুতে। পাখি।তাই এই গরমে স্বস্তি নিঃশ্বাস খুঁজতে পাড়ি দিতে পারেন ফাগুতে।

Related Articles