রাজ্যের খবর

বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোর প্রস্তুতিকালে জয়ন্তী পুজোকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে

Excitement mounts around Jayanti Puja during preparations for Kartik Puja in Banshberia

Truth Of Bengal: হুগলীর বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোয় ঐতিহ্য ও উৎসবমুখরতা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। হুগলীর গঙ্গা তীরবর্তী শহর বাঁশবেড়িয়া প্রতি বছর রাস পূর্ণিমা ও কার্তিক সংক্রান্তির পূর্ণ তিথিতে বিশাল উৎসবে মেতে ওঠে। এই উৎসব শুধু বাঁশবেড়িয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; সংলগ্ন কেওটা, ঝাপপুকুর, সাহাগঞ্জসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েও কার্তিক পূজার মাধ্যমে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি হয়।

বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পূজা কয়েক দশক ধরে তার ঐতিহ্য ও বিশিষ্টতা নিয়ে হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে পরিচিতি লাভ করেছে। শুধু কার্তিক পুজোই নয় গণেশ, নারায়ণ, ভারত মাতা, নটরাজ এবং শিবের পুজোর রীতিও এই অঞ্চলে সমানভাবে প্রচলিত। রাস পূর্ণিমার দিন থেকেই এই মহোৎসবের সূচনা হয়, যা টানা চারদিন ধরে চলে। উৎসবের শেষ দিনে এক বিশাল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। বাঁশবেড়িয়া পৌরসভা, হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভা এবং স্থানীয় প্রশাসন এই উৎসবকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বিশেষ নজরদারি, পুলিশি ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উৎসবের শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়।

এছাড়াও স্থানীয় উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন কমিটি এই উৎসবকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বছরের পর বছর ধরে  কাজ করে যাচ্ছে। এই মহোৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নামি-দামি শিল্পীদের অংশগ্রহণ, বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা, মেলা এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে উৎসবের রং আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

এবারে বাঁশবেড়িয়ার কিছু পুজো কমিটি বিশেষ জয়ন্তী পূজার আয়োজন করেছে। এটি দর্শনার্থীদের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা ও আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ রীতি মেনে পুজো এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৯ তারিখে এক বিশাল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন থিম, আলোকসজ্জা এবং সুরম্য সাজসজ্জা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের মানুষজনও এই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তাদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।

বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি ঐতিহ্য, যা বছরের পর বছর ধরে মানুষকে একত্রিত করে রেখেছে। তাদের জীবনে বয়ে আনে আনন্দ ও উৎসাহের বার্তা। স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের সমন্বয়ে এই উৎসব আরও বৃহৎ রূপ ধারণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও এই ঐতিহ্য অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।

Related Articles