কলকাতারাজ্যের খবর

সবুজ বাজির নজর দারিতে কমিটি, ক্ষুদ্র শিল্পের আওতায় কর্মসংস্থান

green crackers

The Truth of Bengal: শব্দবাজি নয়,সবুজ বাজি।উত্সবপ্রিয় বাঙালির কাছে একথা পৌঁছে দিতে তত্পর প্রশাসন।তাই কেন্দ্রীয় স্তরে এমএসএমই দফতর এই সবুজবাজি তৈরি-বিপণন,সহ সবটাই দেখবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই স্কিমটি কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একাধিক নির্দেশের পাশাপাশি স্কিমের কাজে নজরদারির জন্য জেলা এবং রাজ্যস্তরে দু’টি পৃথক কমিটি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।সবুজ বাজির সমস্তটাই  নজরদারি চালাবে এমএসএমই  দফতর। এই স্কিমে সরকারি ফাঁকা জমি চিহ্নিত করে এমএসএমই দফতরকে ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।তারপর সেখানে  সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরির কাজ শুরু হবে।

সেই কাজে সাহায্য করবেন জেলা শাসকরা। যে সমস্ত ব্যবসায়ী নিজেদের কেনা জমিতে ক্লাস্টার তৈরি করার কাজ করবেন, তাঁদের মোট খরচের ৯০ শতাংশ সরকারের তরফে দিয়ে দেওয়া হবে তিনটি কিস্তিতে ভাগ করে। কিস্তির প্রথম টাকা দেওয়া হবে জমি মেরামত, জমির চার দিকে দেওয়াল তোলা এবং ভিতরে রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পরে। জানা গেছে,সবুজ বাজিতে বেরিয়াম যৌগ ব্যবহার করা হয় না। সাধারণ বাজিতে ব্যবহৃত বেরিয়াম মোনোক্লোরাইড, বেরিয়াম নাইট্রেট ও বেরিয়াম ক্লোরেট আদতে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ আর বায়ুদূষণের কারণ হয়।

এই বাজি পোড়ালে বাষ্প বেরিয়ে আসে, তাই খুব বেশি ছাই, ধূলো উৎপন্ন হয় না। এই বাজি ফাটালে ১১০ থেকে ১২৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ উৎপন্ন হয় না। গবেষণায় প্রমাণিত   সাধারণ বাজির তুলনায় এই বাজিতে ৩০ শতাংশ দূষণ কম হয়।তাই প্রশাসন চাইছে সবুজ বাজির বাজার তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে।  রাজ্যের সমস্ত বাজি প্রস্তুতকারকের ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা নিরি-র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সরকার। প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত খরচও সরকারের তরফেই দেওয়া হবে। উৎসবের মরসুমে বিকল্প বাজি বাজার কোথায় বসতে পারে, সেটাও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে বলে স্কিমের ঘোষণায় জানানো হয়েছে।