রাজ্যের খবর

বীরভূমের মজুমদার বাড়ির পুজোর আরাধনা চতুর্ভুজার! ৬০০ বছর চলে আসছে পরম্পরা

Durga Pujo 2023

The Truth of Bengal: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোথাও চলছে প্যান্ডেল সাজানো। কোথাও চলছে প্রতিমার রূপটান। বারোয়ারি পুজোগুলির পাশাপাশি বনেদি বাড়ির পুজোয়ও এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। সাবেক ধাচের সেইসব পুজোয় চাকচিক্য তেমন না থাকলেও ঐতিহ্য আছে ভরপুর। আজ দেখাবো বীরভূমের মাড়গ্রামের মজুমদার বাড়ির পুজো। রানি ভবানীর সময়কালে মজুমদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা। এই পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে। এই পরিবারের প্রতিমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এখানে দেবী দশভূজা নন, দুর্গা চার হাতেই বধ করেন অসুরকে।

এখানে মা দুর্গাকে নবপত্রিকায় ছিন্নমস্তা অঙ্কন করে সেই রূপেই পুজো করে আসছেন মজুমদার বাড়ির সদস্যরা। তবে অন্যান্য পুজোতে বলি প্রথা থাকলেও এই প্রাচীন পুজোতে নেই কোনও বলির রীতি। কিন্তু এখানে মায়ের পুজোতে ভোগে রয়েছে বিশেষত্ব। মজুমদার বাড়ির এক সদস্য সীমান্ত মজুমদার জানান, সপ্তমী অষ্টমী এবং নবমী এই তিন দিন মাকে অন্নভোগে ১৩ রকমের ভাজা। ১৪ রকমের তরকারি। মোচার বড়া ভাজা। পাশাপাশি মোচার বড়া দিয়ে রসা, মুগ ডাল, আমসত্ত্ব দিয়ে পরমান্য চাটনি এবং দারুচিনি লবঙ্গ গেঁথে একখিলি পান ও এক গ্লাস জল দিয়ে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়।

দশমীর দিন চিড়ে-দই ও খই দিয়ে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীএই তিনদিনে গোটা গ্রামের প্রায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ ভক্তকে ভোগ খাওয়ানো হয়ে থাকে। মজুমদার বাড়ির এই পুজো এলাকার মানুষের কাছে বিশেষ আবেগের। আশপাশে থিমের জোয়ারে ভেসে পুজো হলেও মজুমদার বাড়ির চতুর্ভুজার রূপ দেখতে ভিড় করে মানুষ। ৬০০ বছরের এই পুজো আজও একইরকমের আবেগ বয়ে নিয়ে চলেছে এলাকার মানুষের কাছে।

Free Access

Related Articles