রাজ্যের খবর

দূর্গার সজ্জা থেকে সাবেকী আটচালায় কারুকাজে শোলার কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা

Durga pujo 2023

The Truth of Bengal: পুজো এলেই আমবাঙালির মতোই ওঁদের মন আনন্দে ভরে ওঠে।কারণ সারাবছর সেভাবে অর্ডার না মিললেও পুজোর সময় বায়না বেশি মেলে। আধুনিক যুগে অলংকারে অন্যরকম আকর্ষণ তৈরি করার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বাজারে এসেছে নানা চমকপ্রদ সামগ্রী। জমকালে  বুলন সেট তৈরি করে দুর্গাপুজোর বাজার ধরার চেষ্টায় উঃদিনাজপুরের দক্ষিণ আখানগরের শোলা শিল্পীরা।দেবীর অলঙ্কারে ঔজ্বল্য বাড়ানোর মতোই শিল্পে চমক আনার এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

শারদীয়ার উত্সবে মোটা টাকা রোজগারের আশায় তাঁরা কাজে মন দিচ্ছেন।দুর্গা কৈলাস থেকে কতটা সেজেগুজে আসেন তা নিয়ে শান্ত্রে দ্বিমত থাকতেই পারে। মর্তে দেবীকে অলংকারে সাজানোর দায়িত্বে মালাকার শিল্পীদের। জলাজমিতে নেহাতই অবহেলায় জন্মানো শোলা গাছের কান্ড শুকিয়ে নানান ডিজাইনে কেটে তৈরী হয় দেবীর অলংকার। সেই অলংকার ভূষিতা দেবীকে দেখতে যখন মন্ডপে মন্ডপে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা, তখন  এই শিল্পীদের পরিবার ব্যস্ত থাকে শোলার অলংকার নির্মানে।

মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে কুসুমশিল্পের আঁতুরঘরের সন্ধান মেলে।মালাকার সম্প্রদায়ের মহিলারা সেসময় থেকেই এই শোলার কাজে হাত পাকায়, নানা বিন্যাসে মালা থেকে অলঙ্কার তৈরি করে শিল্প-কৃষ্টিতে জাদু দেখিয়েছেন।মায়ের পুজোয় আন্তরিকতায় কোনও খামতি রাখে না শিল্পীরা।তবে আক্ষেপ তাঁদের বুকে বয়ে বেড়াতে হয়।মহামায়ার কৃপায় মর্ত্যের উমাদের মুখে হাসি বজায় খাক।বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মী  আসুক,এখন এটাই কামনা করেন কালিয়াগঞ্জের শোলা শিল্পীরা।

Free Access

Related Articles