ফেলে দেওয়া ওষুধে শিল্পকর্ম, মাইক্রো আর্টে চমক শিল্পীর
Discarded drug artwork, micro art by amazing artist

The Truth Of Bengal: মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাবলেট খোদাই করে রবীন্দ্রনাথ থেকে গণেশের মূর্তি তৈরি করেছেন রামপুরহাটের প্রসেনজিত মণ্ডল।বীরভূমের শিল্পীর মাইক্রোআর্ট মনজয় করেছে সাধারণ মানুষের।কৃতী শিল্পীর হাতের কারুকাজের প্রশংসা ভরে উঠেছে সর্বত্র।এবার ইন্টারন্যাশানাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খেতাব জয় করে সাড়া ফেললেন এই শিল্পী।
ওষুধের মেয়াদ পেরিয়ে গেলে আমরা তা ফেলে দিই।কিন্তু জানেন কি সেইসব ওষুধও কাজে লাগতে পারে।শিল্পসৃষ্টির অন্যতম রসদ হয়ে উঠতে পারে।একথা কাজে করে দেখালেন রামপুরহাটের শিল্পী প্রসেনজিত মণ্ডল।রীতিমতো চমকে দিয়েছেন শিল্পের এই কারিগর ।সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাবলেট দিয়েই তৈরি করেছেন মা দুর্গা,গণেশের মূর্তি,একইসঙ্গে চাল দিয়ে তৈরি করেছেন টাইটানিক জাহাজ। ফেলে দেওয়া হরেক সামগ্রীকে হাজারো আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন এই শিল্পী। আপন খেয়ালে তৈরি করেছেন তাক লাগানো নানা সামগ্রী।
ফেলে দেওয়া প্যারাসিটামল অথবা অন্যান্য ওষুধ দিয়ে বী রামপুরহাটের প্রসেনজিৎ মন্ডল মাইক্রো আর্টে আলাদা ছাপ ফেলছেন।এমনকি তিনি ২২মে মাইক্রো আর্ট শিল্পী হিসাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে’ নাম তুলেছেন।নিষ্ঠা, ধৈর্য্য ও কঠোর প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে কখনও মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাবলেট খোদাই করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দশভূজা দুর্গা মা দুর্গা, গণেশের মূর্তি, কখনও আবার একটি চালের ওপর টাইটানিক জাহাজ। এতেই বাজিমাত করেছেন প্রসেনজিৎ। রামপুরহাট ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দ্রযান থ্রি থিমের পুজো মন্ডপ তৈরি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। গত বছর দুর্গাপুজোর সময় চন্দ্রযান থ্রি প্যান্ডেল নির্মাণ করে বিভিন্ন জায়গায় খ্যাতি অর্জন করেছেন সে। এই সাফল্যে খুশি তার পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি তার আত্মীয়-স্বজন এবং তার এলাকার বাসিন্দারা।