রাজনীতিরাজ্যের খবর
Trending

Dilip Ghosh: নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ! কি বললেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক?

Dilip Ghosh: Explosive Dilip against the leadership! What did the former BJP state secretary say?

The Truth Of Bengal: ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য,রাতারাতি কেউ এলে পার্টির নেতা বানাতে পারি,জনগণের নেতা হতে পারেনন  না। স্বরূপনগরে মাছ ধরতে গিয়ে বিজেপির  সংগঠনের দুর্বলতার কথা তুলে ধরেন  দিলীপ ঘোষ ।নবাগত,দলবদলুদেরও যে তিনি রেয়াত করছেন না তাও স্পষ্ট হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে। যেখানে তিনি লিখেছেন, ওল্ড ইজ গোল্ড।

দিলীপ ঘোষ,বরাবরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে প্রতিপক্ষ শিবিরকে বেঁধেন।কখনও বিরোধী দলের নেতাদের কখনও আবার নিজের দলের নেতাদের বাউন্সার দিয়ে বিতর্ক বাঁধান। দলের তরফে অনেকবার সেন্সর করা হলেও দিলীপ ঘোষ তা শুনতে নারাজ।  দিলীপ ঘোষ,আছেন দিলীপ ঘোষেই। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই দিলীপ ঘোষ দেদার বাক্যবাণে বিদ্ধ করছেন দলেরই একাংশকে।নাম না করে তীক্ষ্ণস্বরে বিঁধছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে।উল্লে্খ্য,পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৯টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস,১২টি আসনে জিতেছেন পদ্ম শিবিরের প্রার্থীরা।বাম-কংগ্রেস ভোট কাটাকাটি  না করলে ৬টি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত ছিল। ফলে ভোট রাজনীতির পার্টিগণিত মেলানোর মতো রাজ্য বিজেপিতে যোগ্য নেতার অভাব রয়েছে বলে বিজেপির একাধিক নেতা রাখঢাক না করেই বলছেন।ফল বেরোনোর পর বিস্ফোরক হয়ে উঠেছেন দিলীপ ঘোষ,সৌমিত্র খাঁ,নীলাদ্রিশেখর দানা।বিদ্রোহীদের তোপধ্বনিতে কার্যতঃ এখন শুভেন্দু অধিকারী,সুকান্ত মজুমদারদের কোণঠাসা অবস্থা।তার মাঝে নাম না করে আবারও শুভেন্দু অধিকারীকে চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ।স্বরূপনগরে মাছ ধরতে গিয়ে   তিনি মন্তব্য করেন,Grafix in

“রাতারাতি কেউ এলে পার্টির নেতা বানাতে পারি, জনগণের নেতা হতে পারেন না ,বুঝতে হবে দলকে কতটা ভালোবাসে। ’’ Grafix out -একইসঙ্গে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন,   ওল্ড ইজ গোল্ড।কেন ডামাডোলের বাজারে বারবার বিদ্রোহের সুর শোনা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষের গলায় ? বিজেপির বিদ্রোহী নেতা বলছেন,বিপর্যয়ের সময় পিছনের দিকে তাকানো দরকার।

শুক্রবার তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা তুলে ধরে, পুরোনো কার্যকর্তাদের দর কত বেশি তা গেরুয়া শিবিরকে বুঝিয়ে দেন। ২০১৯এ   দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল।এবার শুভেন্দু-সুকান্ত জুটি মেরেকেঠে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে।সাংসদ সংখ্যা কমায় দিলীপ ঘোষের কণ্ঠেওম বর্তমান জুটির ভূমিকার সমালোচনা শোনা যায়।

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, দিলীপ ঘোষ বলেন পার্টির সংগঠন দুর্বল হয়েছে, তিনি দিল্লির দরবারে গিয়ে এই সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি তুলে ধরবেন।অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন এ রাজ্যে বিজেপির ভোট বেড়েছে। দিলীপের পাল্টা  কটাক্ষ, দলের যে নেতা বলছেন দলের ফল ভালো হয়েছে বা ভোট বেড়েছে তা সত্যের অপলাপ।তাঁর আরও তোপ, প্রতিবছর ভোটার বৃদ্ধি পায়, সুতরাং যদি আগেরবারের ভোট ধরে রাখা যায়, তার মানে ভোট বৃদ্ধি নয়, এই তুলনা করা মুর্খামি।তৃণমূল বিজেপির  এই গোষ্ঠী বিরোধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তাই বঙ্গ বিজেপির কলহ মিটিয়ে কিভাবে  মোদি –শাহরা  সাংগঠনিক বিন্যাস ঠিক করেন সেটাই লক্ষ্যণীয়।

Related Articles