অক্ষয় তৃতীয়ায় ভক্তের ঢল তারাপীঠে, মন্দির চত্বরে উৎসবের মেজাজ

The Truth of Bengal: অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে ভক্তদের ঢল তারাপীঠে। লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি নিয়ে মা তারার সামনে পুজো দিতে হাজির ভক্তরা। বৈশাখ মাসের শুক্লা পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া। পৌরাণিক কালপ্রবাহ থেকেই এই তিথি শুভ। যে কোনও শুভ কাজের জন্য এই তিথিকে আদর্শ বলে মনে করা হয়৷ তাই পুজো দিতে সকাল থেকে ভক্তদের ভিড়ে উৎসবের মেজাজ তারাপীঠ মন্দির চত্বরে। অক্ষয় তৃতীয়া বাঙালির কাছে এক আবেগের দিন। বছরের প্রথম দিন যেমন অনেকেই হালখাতার পুজো করে থাকেন, ঠিক তেমনই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অনেক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই হালখাতার পুজো থেকে শুরু করে ভগবানের দর্শনের জন্য ছুটে আসেন বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে। এদিন তারাপীঠ মন্দিরে ঢল নামে মানুষের।

আশেপাশের এলাকার গ্রাম-শহর থেকে হাজার হাজার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভক্তরা ছুটে আসেন অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নে। দিনটি শুভ বলে বহু ভক্ত এদিন পুজো দেন। লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি নিয়ে মা তারার সামনে পুজো দিতে হাজির হন। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, আজকের দিন মা তারাকে বিশেষ রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজানো হয়েছে। সকালে মঙ্গল আরতির পর মা তারাকে রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজিয়ে সকলের জন্য গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এর পরেই সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলে পুজো।

অক্ষয় তৃতীয় উপলক্ষে মা তারাকে দুপুরের অন্নভোগে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা শোল মাছ পোড়া, মাছের মাথা এবং কারণ সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হবে। অক্ষয় তৃতীয়া হচ্ছে হিন্দু পঞ্জিকার বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। এটি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। আর এই শুভদিনে বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম জন্ম নিয়েছিলেন। সেই জন্য এই দিনটি পরশুরাম জয়ন্তী হিসেবেও পালন করা হয়। এদিনই সত্য যুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়। ফলে সব দিক থেকে এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য আছে।