বিধ্বংসী আগুন ব্যারাকপুরের এক কারখানায়, একাধিক অগ্নিকাণ্ড রাজ্যে
জানা গেছে, এদিন সকালে কারখানার ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
Truth Of Bengal: দীপাবলি-কালীপুজোর পরের দিন সকালেই বড়সড় দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো ব্যারাকপুর। নীলগঞ্জ রোডে অবস্থিত একটি ব্যাটারি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে কারখানার চারপাশ ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা এদিন সকালে কারখানার ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে সতর্ক হন, এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের ফুলকি এক ভয়াবহ রূপ নেয়।
জানা গেছে, এদিন সকালে কারখানার ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের ফুলকি চোখে পড়ে, যা নিমেষেই ভয়াবহ রূপ নেয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা নীলগঞ্জ রোডের এই ব্যাটারি কারখানা। আগুন নেভাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দমকলের মোট ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
দমকল সূত্রে জানা গেছে, কারখানায় বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণেই আগুনের তীব্রতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান করা হলেও, আগুনের সঠিক উৎস এখনও স্পষ্ট নয় এবং গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার সময় কারখানার ভেতরে কেউ ছিলেন কিনা, সে বিষয়েও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। তবে স্বস্তির খবর এই যে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এখানেই শেষ নয়, দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি মোড়ে বিএসএনএল অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে সেই আগুন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল।
তাছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের আরও বিভিন্ন প্রান্তে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। কালী পুজোর সন্ধ্যায় ডুয়ার্সের বীরপাড়া এলাকায় অবস্থিত একটি দোতলা বাড়িতে আগুন লেগে যায়। যার জেরে ওই বাড়ি সংলগ্ন পাশের বেশ কিছু দোকান ও বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।





