বাঘের হানায় বারবার মৃত্যু, জঙ্গলে জীবন যুদ্ধের করুণ কাহিনী
Death by tiger attack, tragic story of war for life in the jungle

The Truth of Bengal: পেটের দায়ে সুন্দরবনের অনেক মত্সজীবী ছুটে যান জঙ্গলে।ঘাপটি মেরে থাকলেও বোঝা দায় হয়,কখন বাঘেরা হানা দেবে।তাই রয়্যালবেঙ্গলের থাবায় জীবন যায় খেটেখাওয়া-গরিব গুর্বো মানুষগুলোর।বারবার এই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছেন দ্বীপএলাকার মানুষেরা।আবারও বাঘের হানায় মৃ্ত্যু হল ঝড়খালির হরিপদ দাসের।এবছরই কাঁকড়া ধরতে গিয়ে প্রাণ যায় কুলতলির প্রদীপ সর্দারের।তারআগে ২০২৩এ বাঘের হানায় মৃত্যু হয় কৈখালির লখিন্দর নস্করের।
দুহাজার একুশে এই সুন্দরবনের অন্ন দাস নামে এক মত্সজীবীর বেঘোরে প্রাণ যায় মাছ ধরতে গিয়ে।জল-জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করেই যে সতর্কতার সঙ্গে জীবন-জীবিকা বজায় রাখতে হবে সেকথা ঝড়খালির মানুষ মেনে নিচ্ছেন। ওঁদের ডাঙায় বাঘ আর জলে কুমীরের সঙ্গে নিত্যদিন লড়াই করতে হয়।তার মাঝে যাঁরা কিছু আয় করতে চান,তাঁরা পেটের টানে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোর এরিয়ায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। এই অসহায় মানুষগুলোর কাছে সেটাই হয়ত স্বাভাবিক বিষয়।
সুন্দরবনে রয়েছে বিধবা গ্রাম।যাঁরা জীবনের মূল খুঁটি স্বামীদের হারিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।এই সব মানুষদের জীবনযুদ্ধের লড়াই চালিয়ে যেতে প্রশাসন সরকারি সহযোগিতা করছে।এককালীন ৫লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।ঝড়খালির হরিপদ দাসের পরিবারও সরকারি সাহায্যের আবেদন করতে চান।বিপদ এড়াতে বনদফতর নজরদারি বাড়াচ্ছে,এরপরেও মৃত্যুর ঘটনায় দাঁড়ি টানতে সুন্দরবনের মৎস্যজীবী এবং মধু সংগ্রহকারীদের প্রশাসনের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়ার আবেদনও করছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।