রাজ্যের খবর

তামলিপাড়ায় পুজিত হন দক্ষিণাকালী

Dakshinakali was worshiped in Tamlipara

Truth of Bengal: হুগলির চুঁচুড়ার তামলিপাড়ায় রয়েছে দাসী পিসির গঙ্গার ঘাট। এই দাসী পিসির আসল নাম সত্যময়ী দেবী। তাঁরই চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নিমকাঠের দক্ষিণাকালীর মুর্তি, যা বর্তমানে কৌশিকী অমাবস্যা ও কার্তিক মাসের অমাবস্যাতে মায়ের পূজা হয়। রয়েছে বলিপ্রথাও। হুগলির চুঁচুড়ার তামলিপাড়ায় রয়েছে দাসী পিসির গঙ্গার ঘাট। এই দাসী পিসির আসল নাম সত্যময়ী দেবী। তাঁরই ব্যক্তিগত চেষ্টায় গড়ে উঠেছিল গঙ্গার ঘাট।

সেইসঙ্গে তাঁর চেষ্টাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি মন্দির। যে মন্দিরে বিরাজমান নিমকাঠের দক্ষিণাকালীর মুর্তি। মায়ের সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সাধক বামাক্ষ্যাপার হাত ধরে। কথিত আছে, স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর গঙ্গায় ভেসে আসা নিমকাঠ তুলে এনেছিলেন সত্যময়ী দেবী। তবে তিনি একা নন, স্থানীয় পেয়ারা বাগান এলাকার এক কারিগরও একইসময়ে পেয়েছিলেন দেবীর স্বপ্নাদেশ।

সেই স্বপ্নাদেশে বলা হয়, সত্যময়ী দেবীর গঙ্গায় ভেসে যাওয়া নিমকাঠকে ৯ টাকার বিনিময়ে মূর্তির আকারে গড়ে দেওয়ার কথা। সেই মতোই কারিগরও পৌঁছে যান সত্যময়ী দেবীর বাড়িতে। তারপর সেই স্বপ্নাদেশ মতো সূর্যাস্তের আগেই তৈরি হয় এই দেবীমূর্তি। সত্যময়ী দেবীর নিজের বাড়িতে তৈরি হওয়ার কারণে এলাকাবাসীর কাছে এই মূর্তি পরিচিতি পায় সত্যময়ী কালী নামে। বাংলার ১২৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই মূর্তি।

শুধু মূর্তিই নয়, এখানে দেবীর ঘটও প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন বামাক্ষ্যাপা।  যে ঘট, আজও এই বাড়ির মন্দিরে অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। তবে, পুরোহিত হিসেবে বংশপরম্পরায় থাকেন পরিবারেরই কোনও না-কোনও সদস্য। ভক্তদের কথায়, এই দেবীর কাছে মানসিক করলে, তা পূরণ হয়। বর্তমানে কৌশিকী অমাবস্যা ও কার্তিক মাসের অমাবস্যাতে মায়ের পূজা হয়। রয়েছে বলিপ্রথাও।

Related Articles