ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাবাং পুলিশ, দেখুন সেই ভাইরাল ছবি
Dabang police next to storm-ravaged people, see that viral picture

The Truth Of Bengal : আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশ কর্মীরা বরাবর ছুটে যান। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও উদ্ধার করে আনেন সাধারণ মানুষকে।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি সহ একাধিক এলাকার ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষদের উদ্ধারকাজে নেমে পুলিশ মানবিক মুখ আরও একবার তুলে ধরল। কখনও তাঁরা শিশুদের মুখে খাদ্য তুলে দিলেন বা তৃষ্ণার্তদের দিলেন পানীয় জল, কখনও আবার অসুস্থ মহিলাকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করলেন।
এক অন্যরকম ভূমিকায় দেখা গেল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ কর্তা থেকে পুলিশ কর্মী সবাইকে। যাঁরা আইনের শাসন রক্ষার জন্য লাঠি হাতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা নেন,তাঁরাই ক্ষতিগ্রস্তদের সহায় সম্বল হয়ে উঠলেন। টর্নেডোয় লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া এই এলাকার মানুষের এখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারুর ছাদ হারিয়ে ঠাঁই হয়েছে গাছের নীচে বা ত্রাণ শিবিরে,কেউ আবার স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই লড়ছেন।
তাঁদের জন্য রক্ষকরা যেভাবে রক্ষা কর্তার মতো কাজ করলেন তা সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যাবে না। নেট দুনিয়ায় পুলিশের সেই সবকিছু ছেড়ে সেবার প্রতি আন্তরিকতা, দায়িত্ব পালন বা ভরসার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রশংসা কুড়োচ্ছে। রাজনীতি নির্বিশেষে মানুষ এই সমাজসেবার আদর্শ ভূমিকাকে প্রশংসায় ভরিয়ে তুলছেন।
কুর্নিশ করছেন বাংলার প্রকৃত নজরদারদের। কোভিডকাল থেকেই উর্দিধারীদের মানবিক মুখ দেখা গেছে। সংক্রমণের শঙ্কায় মানুষ যখন ঘরবন্দি ছিলেন তখন তাঁরা সুরেলা ছোঁয়ায় প্রাণের স্পন্দনকে আলাদা গতি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এখন সেই পুলিশই উত্তরবঙ্গের ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষদের দুহাত বাড়িয়ে রক্ষা করছেন।
পরিবারের সদস্যের মতো এলাকার মা বোনেদের স্নেহছায়ায় আগলে রাখা থেকে যন্ত্রণা কাতর মানুষকে শুশ্রুষার ব্যবস্থা করা।তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য যেমন পুলিশ কর্মীরা এগিয়ে আসেন তেমনই আবার গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করে বা সবুজের সমাধিস্থলে দাঁড়িয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়ে পুলিশ যেন বুঝিয়ে দেয়,আমি তোমাদেরই লোক।
কর্তব্যের প্রতি বাংলার পুলিশ যে এতটুকু খামতি রাখছে না সেই ঝলক নেটদুনিয়ার টপে ধরা দিচ্ছে।ভোটের নিরাপত্তার প্রতি নজর রাখার পাশাপাশি আপত্কালীন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পুলিশ কর্মীরা যেন অর্জুন হয়ে উঠেছেন। দুহাত সমান তালে চালিয়ে সমাজকে সচল রাখছেন।সময়ের গতিকে মান্যতা দিয়ে মানবতার দর্শনকে সার্থক রূপ দিচ্ছেন বলে নেটিজেনরা বাহবা দিচ্ছেন।