
The Truth of Bengal: কয়েকদিন আগে যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করত এলাকার মানুষ, এখন সেই রাস্তা আর নেই। বৃষ্টির জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে সেই রাস্তা। এখন সেখানে বিশাল গর্ত। রাস্তা হারিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার মানুষ। টনা ভারী বৃষ্টিতে এমন অবস্থা কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের খারিজা জামালদহ গ্রামে। পাকা সমাধান চাইছে এলাকার মানুষ।
বর্ষার শুরু থেকেই চলছে লাগাতার বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টিতে জেরবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে কোচবিহারের নদীগুলিতে। এবার জলের তোড়ে চলাচলের রাস্তা ভেঙে মিশে গেল নদীতে। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের খারিজা জামালদহ গ্রামের ঘটনা। শুধু রাস্তাই নয়, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার প্রাথমিক স্কুলের মাঠও। কয়েকদিন আগে যেখানে ছিল রাস্তা, এখন সেখানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে স্কুল মাঠও ক্রমশ নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। খারিজা জামালদহের মেলারডাঙা এলাকার এই ঘটনা নতুন নয়। ফি বছর বর্ষা এলে এখানে সুটুঙ্গা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
নদীর ভাঙনে গ্রামের মূল রাস্তা ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গিয়েছে। সেখানকার বারুণি হরিবাসর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠের প্রায় অর্ধেক অংশ ভেঙে গিয়ে নদীগর্ভে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাস্তা ভেঙে দু’টুকরো হয়ে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিবছর ভাঙন এখানে নতুন নয়। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি হতে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি জানাচ্ছে পাকা কোনও ব্যবস্থা করতে। রাস্তা হারিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। তাদের দাবি, অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। সেই সঙ্গে এমন কনও ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে প্রতিবছর তাদের আর ভাঙনের মুখে পড়তে না হয়।