
The Truth of Bengal: ধান্যলক্ষ্ণীর হাত ধরে লক্ষ্নীলাভের ভাবনা প্রথম মাথায় আসে হিঙ্গলগঞ্জের মাহমুদপুরের জানা জমিদার বাড়ির কর্তাদের। জমিদারদের পণ্য নদী ও স্থলপথে কলকাতার চেতলায় পৌঁছাত। তাঁদের কৃষিজ ফসল যেত ধানের মিলে। যা সেখানে ধান থেকে চাল প্রস্তুত হয়ে দেশ তথা বিদেশে রফতানি করা হত। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির চার বংশধরের মধ্যে অনাথবন্ধু জানা ও নকুল জানার বংশধররা মামুদপুরে অবস্থান করলেও অন্য বংশধররা কলকাতায় থাকেন। কথিত আছে , বঙ্গদেশে বারো ভুইঞার সময়কালে রাজা মান সিংহের সময় এই জমিদারির পত্তন হয়। সুদীর্ঘ ৩০০ বছর ধরে বিট্রিশ রাজত্বে এসে এই জমিদারি শেষ হয়। এই জমিদার বাড়িতে কালীপুজোয় ধুমধাম করে প্রাচীন রীতি মেনে পুজো অর্চনা করা হয়।
বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির বেশিরভাগ অংশই ভগ্নাশয় অবস্থায় পড়ে আছে। তবে দূর দুরান্ত থেকে আজও অনেকেই দেখতে আসেন। হিঙ্গলগঞ্জের মামুদপুরের প্রাচীন এই জমিদার বাড়িকে সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রাচীন ইতিহাসের নিদর্শন হিসেবে বাংলার একাধিক জায়গায় এর খোঁজ মেলে। ঠিক একই রকম ভাবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জের মাহমুদপুর প্রাচীন ইতিহাস ঘাটলে দেখা মিলবে মামুদপুর জানা জমিদার বাড়ির।
হিঙ্গলগঞ্জের কালিন্দি ও গৌড়েশ্বর উভয় নদীর তীরে মামুদপুর জানা বাড়িতে এক সময় প্রাচীন বাংলার কৃষি বাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম ছিল। এই জমিদারি পত্তন করেন নন্দলাল জানা। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির চার বংশ ধরের মধ্যে অনাথবন্ধু জানা ও নকুল জানার বংশধররা মামুদপুরে অবস্থান করলেও অন্য বংশধররা কোলকাতায় থাকেন। বাঙালি ব্যবসা বিমুখ বলে অনেকে বলেন,কিন্তু এখন সেই বাঙালির বাণিজ্যপ্রীতিকে তুলে ধরার জন্য তা সংরক্ষণের দাবি উঠছে।হেরিটিজকে বাঁচিয়ে বাঙালির বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার প্রয়াস যথেষ্ট শিক্ষণীয় হতে পারে বলে সুন্দরবনের মানুষ মনে করছেন।