মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে অলৌকিক জনশ্রুতি, বুংকেশ্বরী মন্দিরে আছে বামাক্ষ্যাপার আসন
Bunkeshwari Temple

The Truth of Bengal: রাজ্যের এক একটি মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে এক এক রকম অলৌকিক কাহিনি। কালী সাধনার জেলা বীরভূমে আছে তেমন অনেক মন্দির। দেবী বুংকেশ্বরী মন্দির সম্পর্কেও আছে অনেক অজানা কথা। তন্ত্র মতে দীক্ষা না হলে এখানে পৌরহিত্য করা যায় না। জনশ্রুতি আছে, মন্দিরে কেউ রাত্রিবাস করতে পারেন না। বিশেষ তিথিতে তান্ত্রিকরা এসে এখানে পুজো আর্চনা করে থাকেন। বীরভূমের অলৌকিক দেবী বুংকেশ্বরী মন্দির এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত হিসেবে পরিচিত।
এই মন্দিরের পশ্চিম মুখে বামাক্ষ্যাপার আসনটি এখনও আছে। যে আসনে বসে তন্ত্র সাধনা করতেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। মন্দিরটি অবস্থিত রয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে তিন কিলোমিটার দূরে। নিরিবিলি পরিবেশের মধ্যে এই মন্দিরটি অবস্থিত। মাঘ মাসের ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত এখানে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা বসে থাকে। প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। এলাকার মানুষ অনেকে এই মেলাকে ব্রহ্মদৈত্যের মেলাও বলে থাকেন।
অনেকে মনে করেন দেবী বুংকেশ্বরী শিব এবং পার্বতীর মিলিত রূপ। তিনি শক্তির দেবী। মন্দির সংলগ্ন ঝিলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত একটি খাল কখনও শুকিয়ে যায় না। গ্রীষ্মকালেও তাতে জল থাকে। এই খাল ত্রিবেণী নামে পরিচিত। এই খালের জল নীল এবং বেশ পরিষ্কার। সেজ বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা এই খালে একটি গভীর খাদের সন্ধান পেয়েছেন। তাই এই খালে কেউ নামতে চায় না। মন্দির ও আশাপাশের এলাকা নিয়ে আছে অনেক জনশ্রুতি।