
The Truth of Bengal: আবারও আতঙ্ক। আবারও প্লাবনের শঙ্কা। সিঁদুরে মেঘ দেখে সুন্দরবনবাসী।কারণ রায়মঙ্গলের ৩০০ফুট বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ভোরে বাঁধ ভাঙার ছবি দেখে সাহেবখালি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের চোখ কপালে ওঠে। মাধবকাঠি,কাঠালবেড়িয়া,রমাপুরের মানুষ তবুও বাঁধ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করে। ত্রিপল ,মাটির বস্তা, বাশের পাইলিং দিয়ে মেরামতের শেষ চেষ্টা চালায় সকলে।পঞ্চায়েত থেকে সেচ দফতর,সব স্তরের প্রতিনিধিরাই বাঁধ রক্ষার কাজ চালায়। তবুও ভয় কাটছে না কারুর।
সুন্দরবনের মতো ঐতিহ্যবাহী দ্বীপকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা জরুরি। কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ না করায় বঞ্চনার চোরাস্রোতে এই রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার অনেক অংশই হারিয়ে গেছে। বাকি অংশেও ভাঙন দেখা যায়।তবু কেন কেন্দ্রের ঘুম ভাঙে না ? কেন নজর বাড়ায় না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। তবে দোষারোপের পালা ছেড়ে আপাতত প্রধান সাধ্যমতো উদ্যোগ নিচ্ছেন।
রাজ্য সাধ্যমতো বাঁধ সংস্কার করছে। এরআগেও ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবের পরে সুন্দরবনে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা লাগানোর কথা জানিয়েছিল বন দফতর। ম্যানগ্রোভ বসিয়ে রক্ষাকবচ নির্মাণের এই প্রক্রিয়া কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে বিস্তীর্ণ দ্বীপের বাসিন্দাদের। তবুও বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা কাটে না। কেন্দ্রীয় রাজনীতির চোরাবলি থেকে বেরিয়ে এসে বাঁধ নির্মাণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে সুন্দরবনের স্থানীয় প্রশাসন।