আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেরা গৃহবধূ, হাঁটা প্রতিযোগিতায় হলেন বিশ্বসেরা
Best housewife in international competition

The Truth of Bengal: যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। এই প্রবাদকে আবারও সত্যি প্রমাণ করলেন মালদার এক গৃহবধূ। সংসার-সন্তান সামলে আন্তর্জাতিক হাঁটা প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা সুপ্রিয়া দাস। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার আরও একাধিক বিভাগ থেকে পদক এনেছেন তিনি। তাঁর এমন সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে জেলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। হাঁটা প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা হলেন মালদার এক গৃহবধূ। এর আগেও হেঁটে একাধিক পদক জিতেছেন সুপ্রিয়া দাস। শুধুমাত্র হেঁটে নয়, পাশাপাশি রিলে দৌড় ও দৌড় প্রতিযোগিতাতেও পদক পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে আয়োজিত হয়েছিল প্রাপ্তবয়স্কদের আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস। আর সেখানে অংশগ্রহণ করেন মালদা শহরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া দাস। স্বামী রাজু দাস পেশায় পুলিশ কর্মী। ছোট বেলা থেকেই খেলাধুলোয় ভাল সুপ্রিয়া দাস। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর তেমন ভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সংসার সামলে প্রায় ১৪ বছর পর ২০২৩ সালে আবার শুরু করেন অনুশীলন। গত এক বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় একাধিক সাফল্য এসেছে। ইতিমধ্যে একাধিক পদক জিতেছেন তিনি।
গত ২৭ ও ২৮ জুন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ভেটেরান্স অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। মালদার গৃহবধূ সুপ্রিয়া দাস জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সুবাদে সেখানে সুযোগ পান। দুই কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় তিনি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। এছাড়াও রিলে দৌড় ও দৌড় প্রতিযোগিতায় আরও চারটি পদক পেয়েছেন। বিদেশ থেকে এমন সাফল্য আনতে পেরে খুশি সুপ্রিয়া দাস।
এই প্রথম নয় গত এক বছরে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি। এছাড়াও দৌড় ও রিলে দৌড় প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করেছেন। সংসার ও পরিবার সামলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সমস্ত কিছুই দেখতে হয় তাঁকে। তার ফাঁকে যেটুকু সময় পান মালদা শহরের পুলিশ লাইন মাঠ অথবা বৃন্দাবনী ময়দানে অনুশীলন করেন। নিজের প্রচেষ্টায় নিয়মিত অনুশীলন করেই প্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় নেমে সাফল্য অর্জন করছেন তিনি। তার এমন সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে জেলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ।