রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক, দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি পেল মুর্শিদাবাদের বড়নগর
Baranagar in Murshidabad was recognized as the best tourist village in the country

Truth Of Bengal: Saif Khan: রাজ্যের মুকুটে যোগ হল নতুন পালক। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের লালবাগের বড়নগর গ্রাম ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর সম্মান পেল। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের কৃষি-পর্যটন প্রতিযোগিতায় এই সম্মান অর্জন করেছে এই গ্রাম। X হ্যান্ডলে এই খবর জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব পর্যটন দিবসে, কেন্দ্রীয় ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর পুরস্কার বাংলার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
I am delighted to share that Baranagar village in Murshidabad district has been selected as the ‘Best Tourism Village’ in the Agri-Tourism category by the Ministry of Tourism, Government of India.
The award will be presented on World Tourism Day on 27th September.
Let’s…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 19, 2024
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় X হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের কৃষি-পর্যটন বিভাগের প্রতিযোগিতায় বড়নগর গ্রাম ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর তকমা পেয়েছে। এই খবরে আমি অভিভূত। আমরা এ রাজ্যের অনন্য সম্পদের প্রচার করে তা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেব।’’
বড়নগর কেন বিখ্যাত? এখানে রানি ভবানীর প্রাসাদ এবং চার বাংলা মন্দির রয়েছে, যা প্রধান আকর্ষণ। এই স্থানগুলি দেখতে অনেকে মুর্শিদাবাদের এই গ্রামে আসেন। বড়নগরের টেরাকোটা মন্দির কমপ্লেক্সে চার বাংলা মন্দির ছাড়াও অন্যান্য মন্দির রয়েছে। এখানে শিব, কালী, বিষ্ণু প্রভৃতি দেবতার মন্দির রয়েছে, যার গায়ে হিন্দু পুরাণের নানা ঘটনার ছবি খোদাই করা আছে। রানি ভবানী নিজে অষ্টাদশ শতকে এই মন্দিরগুলি নির্মাণ করিয়েছিলেন, এবং তাঁর সময়ে বড়নগর গ্রামটি ‘ভারতের বারাণসী’ নামে পরিচিত ছিল।
চার বাংলা মন্দির ছাড়াও টেরাকোটা মন্দির কমপ্লেক্সের অন্যান্য মন্দিরগুলি হল— ভবানীশ্বর মন্দির, রাজরাজেশ্বরী মন্দির, গঙ্গেশ্বর শিব মন্দির, পঞ্চমুখী শিব মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, আদ্যা মন্দির ইত্যাদি।
মুর্শিদাবাদের বড়নগর প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এই গ্রামের বাসিন্দারা তাঁত শিল্পে যুক্ত, বালুচরি, জামদানি, টাঙ্গাইলের মতো সুক্ষ্ম বস্ত্র উৎপাদন করে থাকেন। এছাড়াও বাঁশ ও বেতের কারুশিল্প, মৃৎশিল্পে অনেকে জড়িত। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা বড়নগর গ্রামে সক্রিয়। পর্যটকদের জন্য গ্রামে অনেক হোমস্টে এবং রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি পর্যটন ব্যবসায় নতুন উচ্চতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।