
The Truth of Bengal: নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের, কোরিয়াল ও গরদ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এতে শিল্পকর্মের বিশ্বজোড়া অর্ডার মেলার আশা জাগছে। সেই পথেই এগিয়ে যেতে চায় মালদার বয়নশিল্পীরাও। ইতিমধ্যে জিআই তকমা পাওয়ার লক্ষ্যে মালদা জেলা ডিসটিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেন্টারের কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁত শিল্পীরা আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মালদা জেলা ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার মানবেন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, তাঁত ও খাদি শিল্পের ওপর জিআই তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুত কারকদের আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরবর্তীতে সেটি ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। জিআই অর্থাৎ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন যা ভৌগোলিক নির্দেশিকাকেই বোঝায়। মূলত হস্তশিল্প, কৃষিশিল্প এবং খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদিত পণ্যের ওপরই কেন্দ্র সরকার এই জিআই তকমা লাগু করে। বলাবাহুল্য , জেলার পুরাতন মালদা, কালিয়াচক এবং ইংরেজবাজার ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগরেরা।
বর্তমান সময়ে উন্নত প্রযুক্তির পোশাক তৈরীর ক্ষেত্রে তাঁত শিল্প প্রস্তুতকারকেরা গামছা লুঙ্গি সহ বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করে এখন খাদি বস্ত্রের দিকেই আগ্রহ বাড়িয়েছেন।এইসব শিল্পের উন্নতিও উত্তোরণের পথ খুলে যাওয়ার আশায় রয়েছেন শিল্পীও কারিগররা।যাঁরা খাদি অফিস থেকে সুতো আনেন তাঁরা সরকারি সুবিধা পান।বয়নের ভিত পোক্ত করতে এই জিআই তকমা জরুরি বলে মনে করছেন সকলে। মালদার শিল্পীরা চাইছেন,তাঁদের উত্পাদিত পণ্যও জিআই ট্যাগের মাধ্যমে বাজার অর্থনীতির সুফল আদায় করে নিক।সেইমতো প্রশাসনিক স্তরে সহযোগিতাও প্রার্থনা করছে শিল্পীও কারিগররা।