
The Truth of Bengal: হাসপাতালের মর্গে হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বহুদিন ধরে উঠছে এই অভিযোগ। কোনও দেহ ময়না তদন্তের জন্য গেলে শুরু হয় টাকার খেলা। মর্গে টাকা না ঠিক করে কাজ হয় না বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে দেহের ময়নাতদন্ত করা অসম্ভব বলে অভিযোগ নানা রোগীর পরিজনদের। দীর্ঘদিন ধরে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে এই দাপট চলে আসছে। জেলার যে কোনও জায়গা থেকে কোনও মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে হলে পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় জেলা হাসপাতালে।
অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহগুলি আনা হয় জেলা হাসপাতালে মর্গের সামনে। প্রতিদিন প্রায় দুপুর তিনটি থেকে ময়না তদন্ত শুরু হয়। তার আগে দুপুর দুটো থেকেই শুরু হয় ওই টাকার খেলা। দেহ নামানোর আগে সাফাই কর্মীরা মৃতের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতে থাকে বলে অভিযোগ। ৫০০ বা ১০০০ টাকা নয় কম করে ৫০০০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। কারও কারও কাছ থেকে আরও বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে।অভিযোগ বাড়তেই হাসপাতালের মর্গে হানা দেন সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল।
হাতেনাতে দুই সরকারি ডোমকে ধরে হাসপাতালে থেকে বের করে দেন। পাশাপাশি মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোমকেও হুঁশিয়ারি দেন। নিকাত্মীয়কে হারিয়ে শোকগ্রস্ত থাকা মানুষকে ডোমদের এই জুলুমবাজির শিকার হতে হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল। অবশেষ হাসপাতাল সুপার আসরে নেমে সেই অনিয়মের শিকড় উপড়ে ফেলার চেষ্টা করলেন। মর্গ থেকে দুই সহকারি ডোমকে বের করে দিলেন। আগামীদিনে যদি এমন অভিযোগ আবার ওঠে তা হলে আরও বড় পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। খুশি সাধারণ মানুষ।