কালাচের কামড় খেয়ে সোজা হাসপাতালে, প্রাণে বাঁচলেন কুলতলির যুবক
A young man from Kultali survived after being bitten by a Kalach, straight to the hospital

The Truth of Bengal: ঘুমন্ত অবস্থায় কামড়ায় বিষধর সাপ। আতঙ্কিত না হয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন ক্যানিংয়ের এক যুবক। ওঝার কাছে না গিয়ে সোজা পৌঁছে গেলেন সরকারি হাসপাতালে। সঙ্গে নিয়ে যান সেই বিষধর সাপটিকে। ক্যানিং মহকুমাহাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই যুবকের। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা হওয়ায় এখন তিনি বিপন্মুক্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিষধর সাপের উপদ্রব নতুন ঘটনা নয়। বিশেষ করে বর্ষার সময় সেই উপদ্রব বাড়ে। আর লোকালয়ে চলে আসা সেই সাপের কামড় খেতে হয় বহু মানুষকে। এটা প্রতিবছরের ঘটনা। আগে সাপের কামড় খেয়ে বেশিরভাগ মানুষ ছুটে যেত ওঝার কাছে। এখন অবশ্য মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। মানুষ ভরসা রাখছে সরকারি হাসপাতালের ওপর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির জ্বালাবেড়িয়ার বাসিন্দা আজিজুল লস্কর বিষধর সাপের কামড় খেয়ে সোজা পৌঁছে যান হাসপাতালে। সঙ্গে ধরে নিয়ে যান সেই সাপটি। জানা গিয়েছে, রাতে ঘুমোচ্ছিলেন আজিজুল।
হঠাৎ ভোরের দিকে তিনি বুঝতে পারেন কিছু একটা কামড়ে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দেখতে পান বিছানায় ঘুরে বেড়াছে অত্যন্ত বিষধর পাঁচ ফুট লম্বা একটা কালাচ সাপ। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে সাপটিকে ধরে একটা কৌটোর মধ্যে ভরে ফেলেন আজিজুল। সময় ব্যয় না করে ২০ মিনিটের মধ্যে জামতলা হাসপাতালে চলে আসেন ওই যুবক। সেখানে শুরু চিকিৎসা। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য তাঁকে সেখান থেকে পাঠানো হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। এখন বিপদ কেটে গেলেও গলা ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসকরা নজর রাখছেন তাঁর ওপর।
পরে অবশ্য সাপটিকে পিটিয়ে মেরা ফেলা হয়। কালাচ হল এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বিষধর সাপ সাপ। বর্ষা কালে গ্ৰামে কালাচ সাপের উপদ্রব খুব বাড়ে। নিঃশব্দে ঘরে ঢুকে দংশন করে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না হলে মৃত্যু অবধারিত। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মানুষ সাপের কামড় খাওয়ার পর হাসপাতালের বদলে ওঝার ওপর ভরসা রাখত। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মানুষের সচেতনতা বাড়ানোয় মানুষ এখন আর ওঝার দ্বারস্থ হয় না। ভরসা রাখছে হাসপাতালের ওপর। কুলতলির আজিজুল লস্কর কালক্ষেপ না করে হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।