রাজ্যের খবর

শিক্ষক দিবসে অনন্য নজির! ছাত্রের শারীরিক অক্ষমতার কথা ভেবে বাড়িতে উপস্থিত শিক্ষকরা

A unique precedent on Teacher's Day! Teachers present at home thinking about the physical disability of the student

Truth Of Bengal: শিক্ষক দিবসের দিনে শিক্ষকরা করে দেখালো এক অনন্য নজির। স্কুলের ছাত্র বিশেষভাবে সক্ষম, শিক্ষক দিবসের দিনে সে স্কুলে যেতে পারল না, ছাত্রের শারীরিক অক্ষমতার কথা ভেবে এবার শিক্ষকরায় পৌঁছে গেলেন ছাত্রের বাড়িতে, এরপর করলেন সৌজন্য সাক্ষাৎ, ছাত্রর হাতে পুষ্পস্তবক এবং মিষ্টি খাইয়ে পালন করলেন শিক্ষক দিবস।

নদীয়ার হাঁসখালির বাথানগাছি এলাকার স্কুল ছাত্র তুফান বিশ্বাস, বয়স মাত্র ১১ বছর, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বাবা গৌতম বিশ্বাস, মা তাপসী বিশ্বাস। বাবা সেন্টারিং এর কাজ করে কোন রকম সংসার চালান। পরিবারের একমাত্র ছেলে তুফান, কিন্তু ছোট থেকেই প্রতিবন্ধী। তার শরীরের অক্ষমতা নিয়েও প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে ক্লাস করত সে, স্কুলে মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত।তার পড়াশোনার গুণে মন জয় করে নিয়েছিল স্কুলের শিক্ষকদের।

আজ সেই শিক্ষক দিবস, প্রতিদিন নিয়ম করে ইস্কুলে গেলেও আজকে সে আর স্কুলে যেতে পারিনি। হঠাৎ করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষকদের মনে হয়েছে হয়তো শারীরিক কোন সমস্যার কারণে স্কুলে আসতে পারল না তুফান বিশ্বাস। সেই মতো গাজ না, বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষকরা ছুটে যান ছাত্রের বাড়িতে, এরপর তাকে কোলে তুলে নিয়ে হাতে তুলে দেন পুষ্পস্ত স্তবক, এবং খাইয়ে দেন মিষ্টি।

যদিও শিক্ষকদের এই মনোভাব কে কুর্নিশ জানিয়েছে পরিবার। তারাও যথেষ্ট খুশি। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, স্কুলে অনেক প্রতিবন্ধী ছাত্র রয়েছে, আজকের এই দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন শিক্ষক দিবসের দিনে শিক্ষকদের প্রতি আগ্রহ থাকে, তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে তারাও আবেগে ভেসে যান।

বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি স্নেহ ভালোবাসা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি হয়। তাই তারা আজকের দিনে উদ্যোগ নিয়েছেন শুধু তুফান বিশ্বাস নয় এলাকার যত বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়েই পালন করবেন শিক্ষক দিবস। তবে শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে গ্রামের মানুষ।

Related Articles