রাজ্যের খবর

লুচির থেকেও বড় “ফুচকা”, ব্যান্ডেল চার্চ প্রাঙ্গণের মেলায় ভিড় পর্যটকদের

A "fuchka" bigger than Luchi, the Bandel churchyard fair is thronged with tourists

Truth Of Bengal: বাঙ্গালীদের কাছে একটি অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার হল ফুচকা। আট থেকে আশি সকলেই এই লোভনীয় খাবারের  নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। ক্রিসমাস উপলক্ষে ব্যান্ডেল চার্চে ভিড় করছে বহু পর্যটক। সেখানে রয়েছে হরেক রকম খাবারের দোকান। বছরের অন্যান্য দিনগুলির মত প্রতিদিনই দেখা যায় তাদের। রয়েছে ফুচকার স্টল। তবে তাদের মধ্য থেকে নজর কেড়েছে ব্যান্ডেলের কেওটা সংহতি পল্লীর বছর ২৯ এর যুবক রাজা ঢালীর ফুচকা। চার্চের পিছন দিকে রয়েছে তার দোকান‌। সেখানেই মা ও ছেলে পাশাপাশি ব্যবসা করছে।  রাজার ফুচকায় রয়েছে এক আলাদা বৈশিষ্ট্য। এখানকার ফুচকা যেমন সুস্বাদু তেমনি এখানকার ফুচকায় দেওয়া হয় পিঁয়াজ। ছোট ফুচকার সঙ্গেই রয়েছে পেল্লাই সাইজের বড় বড় ফুচকা। যা রাখা রয়েছে কাঁচের বাক্সে। সহজেই চার্চে আসা পর্যটকদের নজর পড়ছে। কেউ আবার দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। তবে অনেকেই আছেন যারা বড় ফুচকা থেকে ছোট ফুচকার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। ছোট ফুচকা যেখানে ১০ টাকায় ৪ টি পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে একটি বড় ফুচকার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদি চাটনি বা দই ফুচকা হয় তাহলে তার দাম প্রায় ১০০ টাকা পড়বে। তাই অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে কুলোচ্ছেনা। আবার অনেকে মনে করছেন একার পক্ষে এত বড় ফুচকা খাওয়া অসম্ভব, বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সকলে মিলে খেলে তখন খাওয়া যেতে পারে বড় ফুচকা।

দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চার্চের পিছনে ফুচকার ব্যবসা করতেন রবিন ঢালী। ২০১৮ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর এখন তার সেই ব্যবসা সামলাচ্ছেন তার একমাত্র পুত্র রাজা। পিছিয়ে নেই তার মা রেখা , তিনিও ছেলের পাশেই বসেই ফুচকার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পড়া শেষ করে ব্যবসায় নেমে করতে হয় তাকে। একসময় তার বাবা এই বড় ফুচকা বানাতেন, এখন সেই ধারাই বজায় রেখেছে  তার ছেলে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তার ব্যবসা। এখন বড়দিন উপলক্ষে বিকিকিনি হচ্ছে ভালোই, খোলা থাকছে রাত পর্যন্ত।

রাজা বলে, বাবা বড় ফুচকা তৈরি করত। এখন আমিই তৈরি করি। যদিও ব্যান্ডেলে অন্য কারোর কাছে পাওয়া যায় বলে আমার মনে হয় না। তবে এই বড় ফুচকা খাওয়ার জন্য বাইরে থেকে অনেক লোক আসে। একটা বড় ফুচকার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কারণ বড় ফুচকার ভেতরের খোলটা অনেক বড় সেখানে আলু সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভরাট করতে হয়, আবার কেউ যদি দই ফুচকা খায় তাতে অনেক রকমের মসলা দিতে হয় সে কারণেই দামটা অনেক বেশি পরে। প্রতিদিন বিক্রি হয় চার থেকে পাঁচ হাজার ফুচকা।

ফুচকা খেতে আসার সৃজনী বসু, রিমা সাহা, দুর্গা সাহারা বলেন, আগে কোনদিনও দেখেনি এত বড় ফুচকা এই প্রথম দেখলাম। লুচির মত দেখতে। মনে হচ্ছে যেন খাস্তা কচুরি। সবাই একসাথে এসছি তাই খেতে পারিনি, অন্য সময় এসে খেয়ে যাব। তবে এখানকার ছোট ফুচকার স্বাদও বেশ ভালো। দশ বছর আগে বড় এই রকমই বড় ফুচকা দেখে গিয়েছিলাম আবার এখন এসেও সেই একই ফুচকা দেখেছি। আমি যতবারই আসি ব্যান্ডেল চার্চে ততবারই এই দোকানে এসে ফুচকা খাই। বেশ ভালো খেতে ফুচকা।

Related Articles