রাজ্যের খবর

শালবনীতে গড়ে উঠবে ৮০০মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

800 MW thermal power plant to be built in Shalbani

Truth Of Bengal: শালবনীতে ৮০০ মেগাওয়াটের ২টি পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জিন্দল গোষ্ঠী। যার জন্য বিনিয়োগ করা হবে ৬হাজার কোটি টাকা। সজ্জন জিন্দলের এই ঘোষণার পরই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে জঙ্গলমহলের মানুষ।পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা বলছেন, শালবনিতে বিদ‌্যুৎ কারখানা হলে এলাকার অর্থনীতি পালটে যাবে, সুযোগ বাড়বে কর্মসংস্থানের।” শিল্পায়নের মাধ্যমে শালবনির রূপ বদল করতে তত্পর প্রশাসনও।

শালবনীতে শিল্পের নতুন যজ্ঞ শুরু হচ্ছে।শিল্প গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুত বাংলায় উত্পাদনের ভাবনা নিচ্ছে দেশি-বিদেশী নানা সংস্থা।শিল্পায়নে  গতি আনতে সজ্জন জিন্দাল ঘোষণা করেছেন,জঙ্গলমহলে পাওয়ার প্ল্যান্ট বা বিদ্যুত্ কেন্দ্র গড়বে জিন্দল গোষ্ঠী। তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র গড়ার কথা ঘোষণা হতেই শালবনীজুড়ে খুশির হাওয়া বইছে।২০১৪ সালে এই প্রকল্পের মধ‌্যে ৪৫৪ একর জমিতে তাপবিদ‌্যুৎ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনাও হয়।

জনশুনানিও করা হয়। তারপর জিন্দল গোষ্ঠী ধীরে ধীরে এগোনোর চেষ্টা করে। এখন ফের সজ্জন জিন্দাল তাপবিদ‌্যুৎ কেন্দ্র গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন, যা শুনে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন অনেকে।বাংলার শিল্পায়নে দেশের নানা সংস্থা লগ্নির কথা ঘোষণা করায় জঙ্গলমহল নতুন করে স্বপ্ন বুনছে।একসময় যে শালবনী সহ  জঙ্গলমহলের একাংশে মাওবাদীদের ভারী বুটের আওয়াজ শোনা যেত এখন সেখানে শিল্পের ধোঁওয়া  ওড়ার উল্লাস ছড়িয়ে পড়ছে।

সজ্জন জিন্দলের ঘোষণার পরই শালবনীতে যেন শিল্পের সূর্যোদয়ের স্বপ্ন দেখছে স্থানীয় মানুষ। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে না।জীবনযুদ্ধের কঠিন সংগ্রাম করে উঠে আসা আদিবাসী মানুষেরা তাই চাইছেন,দেউচাপাচামির মতোই শালবনীতেও শিল্প হোক।যাতে পরিকাঠামোর ভিত গড়া যায়।তাপবিদ্যুত উত্পাদনের মাধ্যমে এই শিল্প তালুকে শত-সহস্র মানুষের রুটি-রুজির সংস্থান হবে বলে আশায় অনেকেই।

বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে সজ্জন জিন্দলের তাপবিদ্যুত কেন্দ্র গড়ার ঘোষণা  জঙ্গলমহলের  সবমহলের মানুষকে আশ্বস্ত করছে।জীবনযাত্রার মাণে বদল আনার কাজ এবার আরও দ্রুততর হবে বলেই আশা সবপক্ষের শান্তনু পানের রিপোর্ট।