ইতিহাসের আকর উঠে এল তথ্যচিত্রে, ৫৫০ বছরের পুরনো ইতিহাস লিপিবদ্ধ
550 years old history is recorded

The Truth of Bengal: রাসপূর্ণিমার পুণ্যলগ্নে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল এবং প্রদর্শিত হল ইতিহাস বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী ময়নাগড় রাজবাড়ি ও বাহুবলেন্দ্র রাজবংশের ওপর নির্মিত গবেষণালব্ধ তথ্যচিত্র। আঠারো মিনিটের তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয় ময়নাগড়ের রাজবাড়ির কুলদেবতা শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর জীউ মন্দির প্রাঙ্গণে। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়না ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমীর পান। চিলেন রাজপরিবারের বর্ষীয়ান সদস্য জীবানন্দ বাহুবলেন্দ্র এবং ময়নার বিশিষ্ট গবেষক ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রবি সামন্ত, তথ্যচিত্রটির পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রণব সাহু, রাজপরিবারের সদস্য ড. সিদ্ধার্থ বাহুবলেন্দ্র।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক শিক্ষাবিদ। তথ্যচিত্রটি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মেদিনীপুরের পরিবেশ গবেষণা সংস্থা ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট অফ আর্থ অ্যান এনভারমেন্টাল রিসার্চ নামক সংস্থাকে। ১০ জন গবেষক দু’মাস ধরে সমীক্ষা করেন এবং চার মাস ধরে গবেষণাপত্র তৈরি করেন। সমীক্ষা এবং গবেষণার ভিত্তিতে ১৮ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়। এই ময়নাগড়ে ‘ধর্মমঙ্গল’ খ্যাত ধর্মরাজ লাউসেন পদার্পণ করেচিলেন। তাঁর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিকগুলি তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে।
সেই সঙ্গে প্রায় ৫৫০ বছরের পুরনো বাহুবলেন্দ্র রাজবংশ, ময়নাগড়ের ইতিহাস এবং পরিবেশের বিবর্তন উল্লেখযোগ্য ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি উঠেছে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানটি ইউনেস্কো ক্লাবের অন্তর্গত হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে এবং হেরিটেজ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ পাক। তথ্যচিত্রে ময়নাগড় ও রাজ পরিবারের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভৌগোলিক পরিবেশ এবং ধর্মীয় সংহতি ও মিলনের কথা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা বর্তমানে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই তথ্যচিত্রে যেভাবে ময়নার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তা জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য হবে মত সবার।