৩০০ বছরের ঐতিহ্যের রথযাত্রা, বারুইপুরের সকল মানুষের কাছে বড় একটা উৎসব
300 years of tradition Rath Yatra

The Truth of Bengal: ৩০০ বছর ধরে সমানভাবে চলছে রথের আয়োজন। রাজবল্লভ রায়চৌধুরীর হাত ধরে রথের সূচনা হয়েছিল। সেই রথের উৎসবে ভাটা পড়েনি। বরং দিনে দিনে বেড়েছে জৌলুস। গোটা এলাকার মানুষ এক হয়ে উদযাপন করেন দিনটি ।
সে জমিদার নেই। জমিদারিতেও নেই। তবে রয়ে গেছে রথযাত্রার সেই উৎসব। ৩০০ বছর আগেকার রথযাত্রা আজও সারম্বরে পালিত হচ্ছে বারুইপুরে। রথ যাত্রা বারুইপুরের সকল মানুষের কাছে বড় একটা উৎসব , যার সূচনা করেছিলেন জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরী ৷ তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন ৷ সে সময় জমিদার বাড়ির নাটমন্দির প্রতিষ্ঠা করে জগন্নাথ – সুভদ্রা – বলভদ্রের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন ৷ ধুমধাম করে পুজো করে জগন্নাথ প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ সেই ধারা চলছে আজও ।
রথ উপলক্ষ্যে দূর দুরান্ত থেকে মানুষের সমাগম হয় বারুইপুর রাসমাঠে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মেলাও বসে। প্রায় একমাস ধরে চলে এই রথের মেলা। পুরীর রথ যাত্রার সমস্ত নিয়ম মেনেই বারুইপুরে রায়চৌধুরীদের রথ পালিত হয় । দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষরা আসেন একবার রথের দড়িতে টান দিতে। তিনশো বছরের বেশি সময় ধরে এই রথ চলে আসলেও সাধারণ মানুষের উতসাহে এতটুকু ভাঁটা পড়েনি। এখনও ব্রিটিশ আমলের লোহার শিকল দিয়ে রথ টানা হয়। শাল কাঠ দিয়ে তৈরি একই রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে বছরের পর বছর রায়চৌধুরীদের নাট মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে রওনা দেন মাসির বাড়িতে।