
Truth Of Bengal: এবার অস্থায়ী হোমগার্ড। এই হোমগার্ড মহম্মদ ইমরানের বাড়ি চাঁপাদানির ১৯নং ওয়ার্ড পিবিএম বাই লেনে। গত চার বছর ধরে চন্দননগর পুলিশের এই পদে কাজ করছিল সে। জানা গিয়েছে, চন্দননগর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে বেশ কিছুদিন কাজ করে সে। বর্তমানে, চন্দননগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিল ওই হোমগার্ড।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট তৈরির জন্য নকল নথি তৈরীর কাজ করত ইমরান সহ বাকি ধৃতরা। ইমরানের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশানের কাজ যারা করেন সেই অফিসাররা যা করার করেছেন। তবে পরিবারের দাবি হোমগার্ড নির্দোষ বলে।
এরপর ওই ব্যাক্তির বাড়িতে এসে পুলিশ তল্লাশি চালায়। একই আধার নম্বর দিয়ে আলাদা আলাদা ব্যক্তির পাসপোর্টের জন্য আবেদনে খটকা লাগে অভিবাসন দফতরের। চন্দননগর পুলিশকে সেই তথ্য দেওয়ার পর গত ২৩ নভেম্বর ভদ্রেশ্বর থানায় মামলা রুজু করে পুলিশ। মহঃ ইমরান, বিশ্বজিৎ ঘোষ ও মোহন সাউকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। গতকাল ধৃতদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সাথে জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এবার থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন থানার অস্থায়ী কর্মীদের কাজকর্মে নজরদারি চালাবেন পুলিশ। থানার এসআই ও এএসআইরা অনেক ক্ষেত্রেই নিজেরা কাজ করেন না। তাদের বদলে করে অস্থায়ী কর্মীরা। পুলিশ কর্মীরা কেবল সই করে দিতেন। এই অস্থায়ী কর্মীদের হাতে এই দায়িত্ব থাকায় তারাই এই জাল তৈরী করতে পেরেছে।