সাসপেন্ড কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১০ বিরোধী সাংসদ
10 opposition MPs including Kalyan Banerjee suspended

Truth Of Bengal: যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ফের তুলকালাম। ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনাকালে তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। সংসদীয় কমিটিরে বৈঠকে শোরগোল। তার জেরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১০ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছে নাদিমুলের হকও।
জেপিসির বৈঠক ও জেপিসির কাজ নিয়ে আপত্তি তোলা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর শুরু হয় বাদানুবাদ। তারপরই সাসপেন্ড করা হয় কল্যাণ সহ ১০ জন বিরোধী সাংসদকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার জেরে মার্শালও ডাকা হয়েছিল বলে খবর।
বিরোধী সাংসদরা অভিযোগ তুলেছেন যে, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মানা হচ্ছে না কোনও রীতি। শুরু থেকেই সরকার তাদের অবস্থান ঠিক করে আসছে। আর সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হচ্ছে। রিপোর্টে নিজেদের মতামতকেই চূড়ান্ত হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। আর বিরোধী পক্ষদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
সাসপেন্ড হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাজ হচ্ছে। জমিদারী চলছে। চেয়ারম্যান কোনও কথাই শোনেন না। বিরোধীদের কোনও সম্মানও দেওয়া হয় না। আমাদের বাড়ির কাজের লোক বলে মনে করে।”
এদিকে এই বিষয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি গতবার সংসদীয় বৈঠকে কাচের বোতল ভেঙেছিলেন? যার বোতল ভাঙার অভ্যাস রয়েছে, তিনি কী ভাষা চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রয়োগ করতে পারেন বুঝুন। চেয়ারম্যান সংসদীয় নিয়ম মেনেই কাজ করছেন। বিরোধীদের যা কিছু বলার, শিষ্ঠাচার মেনে বলতে পারতেন। স্টেকহোল্ডারদের কথা শোনার জন্য কমিটির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। উনি দুধেল গাইদের দেখছেন। আমরা সনাতনী হিন্দুরাও দেখছি।”
প্রসঙ্গত, আসন্ন বাজেট অধিবেশনের মধ্যে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে জেপিসির রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল শেষ অধিবেশনে। শুক্রবার জেপিসি বৈঠকে নতুন করে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির পর ফের এ বিষয় নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।