ভাঙন কবলিত নদী বাঁধ পরিদর্শন করলেন রাজ্যের রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা
State Sundarbans Development Minister Bankim Hazra inspects eroded river embankment

Truth of Bengal: নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি এবং অমাবস্যার কোটালে জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত সুন্দরবন। সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে এলাকার মধ্যে ঢুকেছে নদীর নোনা জল। গঙ্গাসাগর, বকখালি, নামখানা পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, মৌশুনী দ্বীপ সহ সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার বিস্তীর্ণ নদী বাঁধগুলিতে ফাটল ও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গোসাবা এলাকা গোসাবার বিভিন্ন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মাটির নদী বাঁধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কোটালের জোয়ারের জলের তোরে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণের সামনে দু’নম্বর স্নানঘাটে রাস্তা কোটালের জোয়ারের জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দৈত্যাকার ঢেউ একের পর এক আছড়ে পড়েছে সাগর পাড়ে। এরফলে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণের দু’নম্বর স্নানঘাট থেকে ৪ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত যে মাটির রাস্তা এবং নদীবাঁধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গঙ্গাসাগরের বিস্তীর্ণ ভাঙন কবলিত নদী বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এই পরিদর্শন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাগর বিডিও কানাইয়া কুমার রাও। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক আধিকারিকেরা।
গঙ্গাসাগরের বঙ্কিমনগর ,সাউঘেরি, গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে নদী ভাঙন পরিদর্শন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। ভাঙ্গন কবলিত নদী বাঁধগুলিকে পরিদর্শন করার পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা দ্রুততার সাথে অতি অবিলম্বে এই বেহাল নদী বাঁধ গুলিকে মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভাঙন কবলিত নদী বাঁধ গুলিকে পরিদর্শন করার পর রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী তথা সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি বলেন, নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার কোটালের জেরে সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোসাবা বিধানসভা। গোসাবা বিধানসভার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার মাটির নদীবাঁধ গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোসাবা ছাড়াও পাথর প্রতিমারও বেশ কিছু মাটির নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার কোটালে জোড়া ফালায় ক্ষতি হয়েছে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের প্রাঙ্গণের সামনে নদী বাঁধ দু’নম্বর স্নান ঘাট থেকে ৪ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত রাস্তা ও নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধ গুলি মেরামত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০২৬ এর গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করা হয়েছে। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণে নদী ভাঙন রুখতে নেদারল্যান্ডের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যে সকল এলাকায় নদী বাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সকল নদী বাঁধগুলিকে অতি অবিলম্বে দ্রুততার সাথে মেরামত করার কাজ করার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ করার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছি। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা ও ভাঙন মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন। গভীর নিম্নচাপের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।