‘কাঁটাছেড়া না করে দেহ ফিরিয়ে দিন’, পদপিষ্টের ঘটনায় পুত্রকে হারিয়ে কাতর আর্জি বাবার

Truth of Bengal: উল্লাস একলহমায় বদলে গেল শোকে। বুধবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা গিয়েছে, তা হয়তো কেউই কখনও ভুলতে পারবেন না ৷ বিরাট কোহলিদের আইপিএল ট্রফি জয়ের উৎসব ঘিরে দুর্ঘটনা। স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেউ হারিয়েছেন সন্তান, কেউ বা স্বামীকে। এই পরিস্থিতিতে সন্তানহারা বাবার কাতর অনুরোধ করে কর্ণাটক সরকারকে জানিয়েছেন, ‘ছেলের দেহ আমাকে ফেরত দিন। দয়া করে কাঁটাছেড়া করবেন না। তার দেহ টুকরো টুকরো করবেন না।’ শুধু তাই নয় কান্নাভেজা গলায় বাবা বলেন, ‘ আমি আমার একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছি।সে আমাকে না জানিয়েই এখানে এসেছিল। এখন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেখতে যেতে পারেন, কিন্তু কেউ তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।’

ঠিক একই সুর শোনা গেল পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের পরিবারের গলায়। পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, ‘আমি আমার একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছি। ওঁর মাত্র ২২ বছর বয়স ছিল। শুধু মাত্র অবহেলার কারণেই আজ আমাদের ছেলের জীবন চলে গিয়েছে।’

মঙ্গলবারই আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বেঙ্গালুরুর রাস্তায় রাস্তায় সেলিব্রেশন শুরু করে দিয়েছিলেন ভক্তরা। কিন্তু পরেরদিনই যে এই ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। বুধবার বিকালে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে মর্মান্তিক ঘটনার পরও স্টেডিয়ামের ভিতরে হয়েছে উৎসব। প্রশ্ন উঠেছে গোটা দেশে। অবশেষে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলে কর্ণাটক সরকার এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ।পদপিষ্টের ঘটনার পর পর, রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। এর সাথে সাথে, ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রিয়জনদের হারানো প্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে আরসিবি ও কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট সংস্থা। তবে আরসিবির জয়ের আনন্দ বদলে গেল শোকে। চলে গেল ১১টি তাজা প্রাণ।