Truth of Bengal: মৎসকন্যা’ বা ‘মারমেড’ নামটি অনেকেই শুনেছেন । যার উর্ধাঙ্গ মানবীর মত হলেও নিম্নাঙ্গ মাছের লেজের আকৃতির ৷ ‘মৎসকন্যা’র বহু কাল্পনিক ছবি নেট জগতে পাওয়া গেলেও এযাবৎ চাক্ষুষ করা প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই । কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এমনই ‘মৎসকন্যা শিশু’ বা ‘মারমেড বেবি’র জন্ম দিয়েছেন জনৈক প্রসূতি । যা ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছে গোটা এলাকায় । শিশুটি ভূমিষ্ট হওয়ার পর হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাজ্জব বনে গেছেন । হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল অস্ত্রপচার করেন ওই প্রসূতির। তিনি স্বয়ং এতটাই বিস্মিত হয়ে পড়েছেন যে কিছুতেই যেন তার ঘোর কাটতে চাইছে না । ডঃ মণ্ডল বলেন,’আমি আমার ৩৩ বছরের কর্ম জীবনে এই ধরনের শিশুর জন্ম হতে দেখিনি । অস্ত্রপচারের করে শিশুটি ভূমিষ্ট হওয়ার পর আমি হতবাক হয়ে যাই ।’ তিনি জানান, এই ধরনের শিশুকে ‘মারমেড বেবি’ বা ‘মৎসকন্যা শিশুর’ বলে । এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিরলতম ঘটনা।
জানা গেছে,প্রসূতির বাড়ি কাটোয়া থানার করজগ্রামে । প্রসববেদনার কারণে তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন । মহিলার সিজার হয় । কন্যাসন্তান প্রসব করেন ওই বধূ। কিন্তু শিশুটির নিম্নাঙ্গ দেখে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসক ডাঃ রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল,নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা । কারন শিশুটির কপমরের নিচে থেকে দুই পা একসাথে জোড়া, ঠিক যেন মাছের লেজের মতন ।
তবে চিকিৎসকরা জানান যে, মারমেড বেবি সবসময়ই ফিমেল হয়। কিন্তু বেশিক্ষণ বাঁচে না । এক্ষেত্রেও শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল । কিন্তু বাঁচানো যায়নি । চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। তবে তার মা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা । বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।