আইসিসি-র টুর্নামেন্টে নজির হিটম্যান-বিরাটের, পিছনে ফেললেন সৌরভ-পন্টিদের
Hitman-Virat set a precedent in ICC tournaments, leaving behind Sourav-Ponty

Truth Of Bengal: মঙ্গলবার দুবাইয়ের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল। যে ম্যাচে ভারতের কাছে ৪ উইকেটে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে এবারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল অস্ট্রেলিয়ার। ২০২৩-র ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ফাইনাল ও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে হারের মধুর বদলা টিম ইন্ডিয়া নিয়ে নিল মরু শহরের ২২ গজে।
এই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম দুই সিনিয়র ক্রিকেটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি গড়লেন অনন্য নজির। এই নজির গড়েই রোহিত পিছনে ফেলে দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে।
দলের অধিনায়ক হিসাবে একমাত্র রোহিতই আইসিসির সব টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ওঠা, তারপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপের ফাইনাল খেলা। ২০২৪-এ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ওঠা এবং চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠা পর্যন্ত সবকটি টুর্নামেন্টেই ভারতের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল রোহিতের হাতে। এই রেকর্ড হিটম্যান ছাড়া আর অধিনায়ক হিসাবে আর কারও দখলে নেই।
চারবার আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও রোহিত অধিনায়ক হিসাবে দলকে চ্যাম্পিয়ন্স করতে পেরেছেন মাত্র একটি বার। সেটা হল ২০২৪ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় মেন-ইন-ব্লুজরা।
অধিনায়কের পাশাপাশি দল হিসাবেও আইসিসির টুর্নামেন্টে নজির গড়ল টিম ইন্ডিয়া। তারা মোট ৯ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ করে খেতাব জয় করেছে ৫ বার। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা। তাঁরা ৩ বার এই খেতাব জয় করেছেন। দুবাইতে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। একটি ম্যাচেও হারতে হয়নি তাদের। এবং এক মাঠে কোনও ম্যাচ না হেরে টানা জয়ের তালিকায় এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে টিম ইন্ডিয়া।
রোহিতের পাশাপাশি নজির গড়েছেন বিরাট-ও। মঙ্গলবার অজিদের বিপক্ষে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কোহলি। আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টে এটি বিরাট সপ্তমবার এই পুরস্কার জয় করলেন। এই পুরস্কারের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কিং কোহলি। তাঁর আগে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর। শচীন ১০ বার এই পুরস্কার জয় করেছেন।
এরপর ৮ বার এই খেতাব জয় করে শচীনের পরেই রয়েছেন রোহিত ও ম্যাক্সওয়েল। তবে শচীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ৮,০০০ রান পূর্ণ করে ফেললেন কোহলি। ১৭০টি ম্যাচে এই রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি ক্যাচ ধরার রেকর্ডেও বিরাট পিছনে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে। বিরাট মোট ক্যাচ ধরেছেন ১৬১টি। পন্টিংয়ের ঝুলিতে রয়েছে ১৬০টি। ফলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মাহেলা জয়বর্ধনে। তিনি মোট ২১৮টি ক্যাচ ধরেছেন।