ব্রিগেড ভরিয়ে ময়দানের লড়াইতে নামার ডাক সিপিএমের, সংগঠনের আড়ালে কি তবে নতুন কৌশল?
CPM's call to fight in the field by filling the brigade, is it a new strategy behind the organization?

The Truth Of Bengal : ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার সময় সিপিএমে নেতৃত্বে বদল আনার ছবি বড় একটা দেখা যায়নি। বাম বিরোধী শিবির তাই কটাক্ষ করে বলতেন, দেহত্যাগ না করলে সিপিএমের নেতারা পদত্যাগ করেননা। তাই দীর্ঘদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পদে অনিল বিশ্বাস বা বিমান বসুদের দেখা যায়। কেউ কেউ বলছেন,অনেক কষ্টে বর্তমানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের পদ বিমান বসু মহম্মদ সেলিমকে ছেড়েছেন। তবে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান পদটি বিমান বসুর দখলেই রয়েছে।
ক্ষমতাসীন সিপিএম অতীতে যতবার ব্রিগেডে সভা ডেকেছে,সেখানে বর্ষীয়ান নেতারাই বক্তব্য রেখেছেন। এবার সিপিএমের গণসংগঠন ডিওয়াই এফআইয়ের ব্যানারে ইনসাফ সভা হল। সেখানে রবিবার মহম্মদ সেলিম ছাড়া কোনও প্রবীণ নেতাকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি। তবে এই খোলা মঞ্চে ঝড় তোলার জন্য ডিওয়াইএফআইয়ের নেত্রী মীনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায়কেই এগিয়ে দেন মহম্মদ সেলিম। মীনাক্ষ্ণী ৩৬০ডিগ্রি মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা দেন, লড়াইয়ের ময়দান থেকে তিনি কখনই পিছিয়ে আসবেন না। শেষ দেখে ছাড়বেন| মীনাক্ষী নজরুলের কবিতা ভুলে যান মঞ্চ। ব্যাট ধরেন সেলিম।
বুঝিয়ে দেন, নবীনরা ভুলে গেলেও প্রবীণরা ড্রামেজ কন্ট্রোল করতে এগিয়ে আসবেন। বামপন্থার আদর্শ মনে করিয়ে দিয়ে মমতা থেকে বিজেপি সবাইকে খোঁচাও দেন তিনি। ব্রিগেড ভরিয়ে ময়দানের লড়াইতে নামার ডাক সিপিএমে। যুব সংগঠনের আড়ালে সিপিএমের নতুন কৌশল। প্রবীণদের সামনে না এনে নবীনদের সামনে রাখার চেষ্টা এই সব প্রশ্ন সিপিএমকে শুনতে হচ্ছে কারণ,ক্ষমতায় থাকার সময় এই রাজ্যে কোনও নেত্রীর হাতে সংগঠনের রাশ তাঁরা তুলে দেয়নি।
FREE ACCESS