ঘুরে অসুন পশ্চিমবঙ্গের এই স্থান, একবার গেলে ফিরতে চাইবে না মন
Want to visit the mountains in summer weather?

The Truth of Bengal: গ্রীষ্মের আবহে পাহাড়ে ঘুরতে চান। তাহলে পৌঁছে যান কালিম্পং এর চুইখিম। পাহাড়ি পরিবেশের পাশাপাশি আপনি দেখতে পাবেন নানা রঙের ফুলের বাগান এবং সেই ফুলের উপর ডানা মেলে বসে রয়েছে নানা রঙের প্রজাপতি। তাই সপ্তাহান্তের ছুটি পেলেই পৌঁছে যান দুই নদীর মাঝে অবস্থিত এই পাহাড়ি উপত্যকায়। কালিম্পং কখনও ভ্রমণ পিপাসুদেরকে হতাশা করে না। কালিম্পং এর কিছু এমন লোভনীয় গ্রাম আছে যা পর্যটকেরা যেতে বারবার পচ্ছন্দ করবে। এই রকমই এক লোভনীয় গ্রাম হল চুইখিম। কালিম্পঙের দক্ষিণে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চুইখিম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে অবশ্যই আকর্ষণ করবে। পাহাড়ি গ্রাম মানেই শান্ত পরিবেশ, মেঘে ঢাকা, চারপাশ চা বাগানে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশ।
চুইখিমে বসবাসের সংখ্যাও কম। প্রায় ২০০ – ২৫০ টি পরিবার রয়েছে এখানে। এই অঞ্চলের বেশিভাগ মানুষের জীবিকা চাষাবাদ। পর পর সবুজে চা বাগান দেখে আপনার চোখ দুটো জুড়িয়ে যাবে। পাহাড়ের যত উপরের দিকে উঠবেন শুনতে পাবেন পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ। দুপাশের ঘন পাহাড়ি গাছপালার মধ্যে দিয়ে উঁকি মারছে সূর্যের কিরণ। দুপাশের পাহাড়ের মাঝখান বরাবর চলে গিয়েছে রাস্তা। কুলুকুলু শব্দ সমেত পাহাড়ের গা বেয়ে বয়ে চলেছে লিস নদী। আরও একটি নদী রয়েছে। এই দুই নদীর মাঝখান বরারবর অবস্থিত এই পার্বত্য উপত্যাকা চুইখিম। চুইখিমের পাহাড়ি জঙ্গলে মাঝে মধ্যে শুনতে পাবেন লেপার্ডের শব্দ। তাই রাত্রিবেলা একা একা এই পার্বত্য উপত্যাকায় বেরবেন না।
কেবল চা চাষ না , হয়ে থাকে ভুট্টা থেকে শুরু করে কমলালেবু, স্ট্রবেরি চাষও। যত রাত হবে কানে ভেসে আসবে ঝিঁঝিঁ পোকার গন্ধ। পাহাড়ের ঢালে দেখতে পাবেন নানা পাহাড়ি এক গুচ্ছ ফুল এবং অর্কিড। ফুল পাখিদের পাশাপাশি দেখবেন ডানা ফেলে ফুলের উপর বসে আছে বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি। দেখে যেন মনে হবে ঠিক যেমন ক্যালেন্ডারে সুন্দর সুন্দর প্রকৃতির ছবি দেখেন, তেমনটা। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য অনুভব করতে গেলে আপনাকে পৌঁছাতে হবে শিলিগুড়ি সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান চুইখিম। এছাড়াও জীবনে অ্যাডভেঞ্চার করতে চাইলে আপনি বাইক চালিয়েও আসতে পারেন চুইখিমে। তবে সেখত্রে সময় তা বেশি লাগবে সেটাই স্বাভাবিক। এই গ্রাম খুবই ছোট তাই কোন হোটেল পাবেন না। এখানকার বাসিন্দারা নিজেদের বাড়ি গুলিকে হমস্টে হিসাবে ব্যবহার করে। তাই আপনি চাইলে এখানেই থেকে যেতে পারেন।