
The Truth of Bengal: অনেক তো গেলেন পাহাড়ে এবার না হয় একটু তীর্থ ক্ষেত্রে গেলেন। ভাবছেন কোথায় যাবেন? বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে রয়েছে শ্যাম রাই মন্দির। বিষ্ণুপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ২ কিমি দূরেই প্রাচীন গাথা শুনতে পৌঁছে যান এই মন্দিরে। শ্যামরাই মন্দিরকে বিষ্ণুপুরের অন্যতম মন্দির হিসাবে ধরা হয়। মন্দিরের পরতে পরতে পেয়ে যাবেন ইতিহাসের গন্ধ। এই মন্দির কে অনেকেই পঞ্চরত্ন মন্দির হিসাবেও অভিহিত করেন। প্রাচীন মন্দিরটি বিশাল আকার ও চৌক। ১৬৪৩ সালে মল্লরাজা রঘুনাথ সিং নির্মাণ করেছিলেন। কৃষ্ণের লীলা ছড়িয়ে রয়েছে জগত জুড়ে। কথিত আছে যে কৃষ্ণ সেই দুর্গা সেই শিব আবার সেই কালী এবং সেই পার্বতী।
এই মন্দিরও কৃষ্ণকে উতসর্গ করে নির্মাণ করা হয়ে হয়েছিল। মন্দিরের চারিপাশে রয়েছে সুন্দর বাগান। এই মন্দিরের কোণে রয়েছে একটি বর্গাকার খিলান। পাঁচটি খিলান এই মন্দির কে এক অভিনভ রূপ দেয়। ইটদিয়ে তৈরি এই মন্দিরের কারুকার্য দেখার মত। মন্দিরের মধ্যে রয়েছে অষ্টভুজাকার একটি গম্বুজ। বিষ্ণুপুর সর্বদায় টেরাকোটা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এই মন্দিরেও খুঁজে পাবেন একজন শিল্পের নিখুঁত অলঙ্করণ। মন্দিরের দেওয়ালে পাওয়া যাবে বৌদ্ধ শিল্পের কিছু নিদর্শন। মন্দিরের চারপাশে রয়েছে খিলান যুক্ত প্রবেশদ্বার।
এই প্রবেশ দ্বারের মধ্যে দিয়ে আপনি মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। মন্দিরের দেওয়ালে দেখবেন কৃষ্ণলীলা সহ মহাভারত ও রামায়ন মহাকাব্যের পর্ব গুলি সুন্দর করে চিত্রিত করা রয়েছে। যার জন্য মন্দিরের শোভা আরও বৃদ্ধি পায়। ভাবছেন কি ভাবে যাবেন? ট্রেনে করে পৌঁছে যান বিষ্ণুপুর সেখান থেকে টোটো করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই শ্যাম রাই মন্দিরে। মন্দিরে ঢোকার জন্য আপনাকে মাথাপিছু ২৫ টাকা করে টিকিট কাটতে হবে। তাহলে আর দেরি না করে ঘুরে আসুন এই প্রাচীন মন্দির থেকে।