ভ্রমণ

পাইন আর ধুপির ছায়ায় ঢাকা শিমলা, শান্তশহরের টানে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা 

Shimla Tourism

The Truth of Bengal: পাইন আর ধুপির ছায়ায় মোড়া ছবির মতো শহর সিমলা।যেখানে এখন দেশের নানা অংশের মানুষ ভিড় করছেন। দৃষ্টিনন্দন এই শহরে গেলে আপনার মনটা রিফ্রেশ হয়ে যাবেই। যাবেন নাকি সেই শৈলশহরে? রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরির মাঝে হিমাচলপ্রদেশের এই রাজধানী শহরে একবার ঢুঁ মেরে আসবেন নাকি? কথিত আছে একসময় ব্রিটিশরা এই শহরটি গড়েছিলেন। ৭০০০ফুট উচ্চতায় থাকা এই হিমাচলপ্রদেশের এই শহরের শোভা চাক্ষুষ করার জন্য প্রতিবছরই বহু মানুষ সেখানে ছুটে যান।কেউ কেউ  নস্টালজিক হয়ে যান। সিমলা ও তার আশপাশ দেখতে গেলে আপনাকে  হাতে দু’দিন সময় রাখতেই হবে।সিমলার মূল আকর্ষণ ম্যাল। এখানেই রয়েছে ক্রাইস্ট চার্চ। হলদেরঙা এই গির্জাটি   তৈরি হয়েছিল, নিয়ো-গথিকশৈলীতে। প্রতি সন্ধ্যেয় অপরূপ আলোকমালায় সেজে ওঠে শিমলা কালীবাড়ি । এরাজ্যে বৃষ্টি নামলেও গরম কমেনি।তাই গরমের আঁচ থেকে বাঁচতে অনেকেই  ছুটে যাচ্ছেন সিমলা-কুলুমানালিতে। এই শহর দিয়ে  আঁকাবাঁকা পাহাড়ের পথ দিয়ে ছুটে চলে ট্রয় ট্রেন।

শুধু দেশের পর্যটকরাই নন,বিদেশী পর্যটকদের গন্তব্য সিমলা।আপেল চাষের স্বর্গভূমি বলে পরিচিত  হিমাচলে  এখন গাছে গাছে ঝুলছে লাল টুকটুকে আপেল। নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার যেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের মধ্যে তেমনই আবার  হিমেল বাতাস আলাদা অনুভূতি বয়ে আনে।  ১৫-১৬ডিগ্রি তাপমাত্রার আবহে ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে। বরফের উল্লাস   উপভোগ করতে পর্যটকরা মুখিয়ে থাকেন। কার্যতঃ উইকেন্ডে ভ্রমণবিলাসীদের রেকর্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যাঁরা সিমলায় যাচ্ছেন তাঁরা কেউই ট্রয় ট্রেন চাপার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। আন্তর্জাতিক স্তরে সিমলার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যার জন্য বিদেশী পর্যটকরাও হিমাচলের রাজধানী শহর ঘুরে যাচ্ছেন এই গরমের মরসুমে। যাঁরা পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন,তাঁরা আশা করছেন এবার প্রচুর অর্থলাভ হবে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন,  দেশের নানা অংশের মানুষের সিমলা কেন পছন্দের জায়গা ? পর্যবেক্ষকরা বলছেন,  প্রকৃতিপ্রেমীরা এই শীতল শৈলশহরে গিয়ে প্রাণ-মন জুড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কোভিড কালে সিমলায় পর্যটক আসার চল কমে যায়।যারজন্য গত ২বছর ধরে মার খায় ব্যবসা।  কিন্তু উষ্ণায়নের আঁচে পুড়তে থাকা বিশ্বের মানুষ এখন হিমাচলকেই পয়লা তালিকায় রাখছেন।তাই ইউনেস্কোর হেরিটেজ ট্রেন ট্রয় থেকে আধুনিক পরিবহনের সব সুযোগই কাজে লাগাতে চাইছেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। সেজন্য ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছে এই রাজ্যের পর্যটন শিল্প।শুধু পর্যটন থেকে ১১হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Related Articles