ভ্রমণ

অফবিট ডেস্টিনেশন: প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য তাবাকোশি, চা বাগান আর পাহাড়ি ঝর্নার সৌন্দর্য্য

Nature's paradise of Tabakoshi, tea gardens and the beauty of mountain springs

The Truth Of Bengal: শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন প্রকৃতির মাঝে একটুকরো পাহাড়ি জনপদ তাবাকোশি থেকে। চারপাশে চা বাগানে ঢাকা দার্জিলিঙে অবস্থিত তাবাকোশি গেলে প্রকৃতির সব রসদ পেয়ে যাবেন। অজানা পাখির কলতান শোনার পাশাপাশি দেখতে পাবেন পাহাড়ি ঝর্নার সৌন্দর্য।

দার্জিলিং এ মিরিকের কাছে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম তাবাকোশি। এই পাহাড়ি উপত্যাকার সামনে দিয়ে বয়ে চলেছে রংভাং নদী। এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের উচ্চতা ৩০০০ ফুট। নেপালি ভাষায় কোশি শব্দের অর্থ নদী। রংভাং নদীকে নেপালি ভাষায় তাম্বাকোশি বলা হয়। মূলত এই নদীর নাম অনুযায়ী এই ছোট্ট পাহাড়ি জনপদের নাম হয় তাবাকোশি। তাবাকোশিতে যে দিকেই তাকাবেন শুধুই দেখতে পাবেন সবুজ ভেলভেটের ন্যায় চা বাগান।

তাবাকোশির আনাচে কানাচে দেখতে পাবেন কমলা লেবু। দূর থেকে দেখতে পাবেন মিরিক। আশেপাশে শুনতে পাবেন নানা পাহাড়ি পাখির শব্দ। এক ঝাঁক নানা অজানা অচেনা পাখির দল আপনার সামনে দিয়ে পেরিয়ে যাবে।

প্রকৃতির কোলে তাবাকোশি যেন এক টুকরো স্বর্গ স্বরূপ। শুধু কমলালেবু নয়। এখানে দেখতে পাবেন ভুট্টা খেত, এলাচের বাগান, আদার বাগান। এলাচের বাগানের একপাশ দিয়ে উপর থেকে নীচে দিকে বয়ে চলে যেতে দেখবেন একটি  ছোট্ট ঝর্না।শীতের মরশুমে এই পাহাড়ি উপত্যাকায় গিয়ে রাস্তার দোকান থেকে চা খেতে খেতে দূরের পাহাড় গুলি দেখে আপনার প্রাণ এবং চোখ দুটিই জুড়িয়ে যাবে।

 

কিভাবে যাবেন? প্রথমে ট্রেনে করে পৌঁছে যান এনজেপি। সেখান থেকে শিলিগুড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান মিরিক। মিরিক থেকে ৮ কিমি দূরেই অবস্থিত তাবাকোশি। তাই মিরিক থেকে আরও একটি গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান তাবাকোশি। তাবাকোশিতে থাকার জন্য পেয়ে যাবেন হোমস্টে। তাই রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আপনার হবেনা।

Free Access

Related Articles