
The Truth of Bengal: “মলদ” নামে এক প্রাচীন জাতি গোষ্ঠীর নাম থেকেই মালদহ বা মালদা নামটির উৎপত্তি বলে অনেক পন্ডিতব্যাক্তি মনে করেন। আবার অনেকের মতে ফারসি শব্দ “মাল” যার অর্থ “ধন” সম্পদ এবং বাংলার “দহ” যার অর্থ হ্রদ বিশেষ। এই শব্দদ্বয়ের সম্মিলিত রূপ হল মালদহ। শহরটি আমের শহর হিসেবেও যেমন পরিচিত তেমনই মসজিদের শহর হিসেবেও বেশ খ্যাতি রয়েছে। সেইসঙ্গে এই শহরের আনাচে কানাচে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। তাছাড়া এখানকার আম, পাটের কাজ আর সিল্ক পৃথিবী বিখ্যাত। পাশাপাশি রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক স্থান যা সমৃদ্ধ করেছে এই মালদা জেলাকে। সর্ব ধর্মের এক মিলনক্ষেত্র প্রাচীন শহর।মধ্যযুগীয় অনেক বিখ্যাত স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ এই জেলার চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। শহরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে বাংলার গর্বের দুই প্রাচীন শহর গৌড় এবং পান্ডুয়া।
গৌড়— দক্ষিণ মালদা থেকে প্রায় ষোল কিলোমিটার দূরে গৌড়ের অবস্থান। সপ্তম শতকের দিকে এই গৌড় ছিল রাজা শশাঙ্ক পালের রাজধানী। প্রাচীন বাংলার কয়েক শতাব্দীর গৌরবময় ইতিহাস ছুঁয়ে গেছে এই গৌড়ে। তবে হিন্দুপুরান থেকে জানা যায়, সূর্যবংশীয় রাজা মান্ধাতার দৌহিত্র গুণ এই ভূখণ্ডের রাজা ছিলেন একসময় এই গৌরী ছিল বঙ্গের রাজধানী। সপ্তাহান্তে ছুটি পেলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন এই শহর থেকে। তবে মালদা পুরোপুরি ভাবে দেখতে গেলে দু-তিন দিনে হবে না আপনাকে একটু সময় হাতে নিয়ে আসতে হবে আর দুদিন সময় পেলে আপনি আসতেই পারেন গৌড়ে।
শুধু গৌড় কেন গৌড়ের পথের বাকে ছোট্ট একটি মন্দির রামকেলি যা বাংলার মহান ধর্ম সংস্কারক শ্রীচৈতন্যের অস্থায়ী বাড়ি বলে বিখ্যাত। রযেখানে তিনি বৃন্দাবনের পথে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। তার পায়ের ছাপ ছোট্ট একটা মন্দিরে সংরক্ষিত আছে যা আরতি কুন্ডু বা ট্যাঙ্ক দ্বারা ঘেরা রয়েছে সেগুলি হল…. রুপসাগর শ্যামকুন্ড, রাধাকুণ্ড, ললিতাকুন্ড, বিশাখাকুন্ড, সুরভীকুন্ড, রঞ্জকুন্ড, ও ইন্দুলেখাকুন্ড। মালদায় আসলে এই দুটি প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান অবশ্যই আসবেন এছাড়াও দেখার মতন আরও অনেক কিছু আছে সেগুলো না হয় পরে আবার বলা যাবে।