
The Truth of Bengal: নানা সময়ে নানা চুক্তির ফলস্বরূপ দুমকা (Dumka), মল্লহাটি, ম্যাসেঞ্জোর বহুবার ভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই জায়গাগুলি সাঁওতাল পরগনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচিত। পাহাড় এবং আদিবাসী গ্রাম তাঁতলৈ উষ্ণপ্রস্রবণ, সুবর্ণরেখা নদী ছাড়াও বেশ কিছুদূরের মল্লহাটি ও মেসেঞ্জার পর্যটক প্রিয় জায়গা। দুমকা থেকে রামপুরহাটের দিকে যেতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মল্লহাটি বা মলুটি গ্রাম। ছোট গ্রামে বাড়ি ও টেরাকোটার মন্দির সব একাকার। আগে ১০৮টি মন্দির ও পুষ্করিনী থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়ে ৭৪ টি।
মন্দিরের অনেকগুলোই আজ অতি ভগ্ন দশা। বেশ কিছু মন্দিরের অবস্থা তুলনামূলক ভালো কয়েকটি সম্পূর্ণ পোড়ামাটির কারুকার্যশোভিত টালি এখনও অক্ষত। রামায়ণ মহাভারত ও পুরাণ এর কাহিনী এখনো জীবন্ত হয়ে আছে। বেশ ক’টির অসাধারণ খিলান ও স্তম্ভের কাজ দেখলে মন বিস্ময়ে ভরে ওঠে। তবে দৈনন্দিন মানব জীবনের গল্প বা সামাজিক জীবনের কাহিনি, টালি গুলিতে নেই বললেই চলে। তাই সেই সময়ের কোন নির্ভরযোগ্য বা প্রামাণ্য ইতিহাসের দলিল হিসেবে মন্দিরগুলিকে চিহ্নিত করা যায় না। অধিকাংশই একরত্ন মন্দির রাজা বাখরচন্দ্র ও তার পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৭২০ থেকে ১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।
দুমকা থেকে সিউড়ির পথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মেসেঞ্জোর। জলাধারের নীল জল, ডুবো পাহাড় আর অসাধারণ সৌন্দর্যের সমাহার। মেসেঞ্জোরের দিক থেকে এলে ড্যামের ও পাহাড়ের নিখাদ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতি মনোরম ভাবে ধরা দেয়। এখানে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা বলতে, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সেচ দপ্তরের অধীনে দুটি বাংলো রয়েছে। বাংলো গুলি থেকে ড্যামের দৃশ্য খুব সুন্দর দেখতে লাগে। কীভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে দুমকা যাওয়ার ট্রেন রয়েছে। জামালপুর কবিগুরু এক্সপ্রেস, ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেস। এছড়া দেওঘর থেকে বাসে দুমকা যাওয়া যায়। সময় লাগে ঘন্টা দুয়েক। গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যেতে পারেন।