তীর্থস্থান ঘুরে দেখতে ভালোবাসেন? জানেন সিউড়ির পৌরাণিক তীর্থস্থান দাতা বাবার দরগাহ পাথরচাপড়ির কথা?
Do you know about the mythical pilgrimage site of Father Baba's dargah Patharchapadi?

The Truth Of Bengal : কথিত আছে পাথরচাপড়িতে একবার গেলে কোন ভক্তই ফাঁকা হাতে ফিরে আসেনা। বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার গ্রাম হল পাথরচাপড়ি। সিউড়ি থেকে ১২ কিমি দূরেই অবস্থিত এই গ্রাম। পৌরাণিক মতে ফকির পীর মেহেবুব শাহ ওয়ালি অনেক অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। বাংলা ক্যালেন্ডার ঘাঁটলে পাওয়া যাবে ১২৯৮ সালের চৈত্র মাসে তিনি মারা যান। তার আগেই তার ধার্মিক ও সামাজিক জীবনদর্শন অনেক অনুরাগীদের প্রভাবিত করে। পাথরচাপড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তিনি দাতা সাহেব নামে পরিচিতি লাভ করেন। এই দাতা সাহেবের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সুবিশাল মাজার। পাথরচাপড়িতে রয়েছে এই সাদা রঙের মাজারটি।
এই মাজার যে জমির উপর স্থাপিত তা এক সময় বর্ধমানের রাজা বিজয় চাঁদ দান করেছিলেন। প্রাচ্যের ইসলামিক দরগাহ আদলে নির্মিত হয়েছে এই পাথরচাপড়ি মাজার। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই দরগাতে এসে থাকেন বহু ভক্ত। এই মাজারের উপরে রয়েছে সাদা রঙের এক বিশাল গম্বুজ। এখানে এসে বহু ভক্তরা পুণ্য লাভের আশায় চাদর চড়ায়। নিজের সন্তানের নামে হোক বা নিজের পরিবারের নামে কোন অপূর্ণ আশা পূর্ণ হওয়ার আশায় ভক্তের সমাগম হয় এই মাজারে। এই মাজারের পাশেই আছে একটি মসজিদ। যেখানে ভক্তরা প্রার্থনা করতে পারেন। শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মত এই মাজারকে কেন্দ্র করে এখানে বসে এক বিশাল মেলা।
প্রায় মাস খানেক ধরে চলতে থাকে পাথরচাপড়ি মেলা। এমন কোন দোকান নেই যা এই মেলাই আসেনা। খাবার, গ্রিহস্থলির নানা সরঞ্জামের দোকানের পাশাপাশি এই মেলাই চলে নানা অনুষ্ঠান। এখানে রয়েছে একটি লঙ্গড়খানা। যেখানে বিনা পয়সায় বহু মানুষ ২ বেলা পেট পুরে খেতে পারেন। এখানে থাকার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও বহু থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মাজার আপনার দু দণ্ড শান্তির জন্য হতে পারে সেরা ডেসটিনেশন। মন চাইলে ঘুরে আসুন এই পুণ্য ভূমি থেকে। এখানে যেতে গেলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে সিউড়ি স্টেশন বা সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে পাথরচাপড়ি যাওয়ার জন্য পেয়ে যাবেন একাধিক গাড়ি।
FREE ACCESS