
The Truth of Bengal: লাল মাটির দেশ বাঁকুড়া ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান যেখানে রয়েছে পদে পদে উজ্জ্বল স্থাপত্য।রয়েছে পোড়ামাটির উপাখ্যান। মধ্যযুগীয় শেষভাগে এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে, বৈষ্ণব ধর্ম মল্লভূমের রাজ ধর্মের মর্যাদা অর্জন করেন। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়ে নেয়। রাঙ্গামাটির শহর বাঁকুড়ার অতুলনীয় সৌন্দর্য সমস্ত ভারতের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই শহরের মনোমুগ্ধকর রূপের আড়ালে লুকিয়ে সবুজ জঙ্গলের সবুজ গালিচা ঘেরা পাহাড়। বাঁকুড়া মানেই হস্তশিল্পের আতুর ঘর। টেরাকোটের গল্পগুচ্ছ উকি দেয় আনাচে কানাচে। সম্পূর্ণ শেষ মোহময়ী রূপ বাঁকুড়ার সৌন্দর্য কে যেন দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে।
বাঁকুড়া জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্থান জয়রামবাটি আধ্যাত্মিক গ্রাম। মা সারদার শ্রীরামকৃষ্ণের বাসস্থান। এই মাতৃভূমি দেখতে দেশ বিদেশের পর্যটকরা ভিড় জমান। সবুজ চরণভূমি ঘনত্রনভূমি গাছ এবং ঝোপ ঝাড়ের চারপাশে ঘেরা এই গ্রানটিতে রয়েছে চির শান্তির পরিবেশ। জয়রামবাটির পাশাপাশি বাঁকুরিয়া তে আরো অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে তার মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা শুশুনিয়া পাহাড় 1442 ফুটের উচ্চতায় শুশুনিয়া পাহাড় বাঁকুড়া জেলার একটি বিখ্যাতস্থান। সুসঙ্গে পর্বতারোহন কেন্দ্র বটে। ছাতনা শহরের ১০ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে এই পাহাড় অবস্থিত ছাতনা শহরটি বাঁকুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাঁকুড়া পুরুলিয়া রোডের উপরে।
সবুজের প্রকৃতির মাঝে দূষণমুক্ত সুন্দর পরিবেশ আপনকে এক অনাবিল আনন্দ দেবে। সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতে পারেন এই সুন্দর ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম থেকে। শুশুনিয়া পাহাড় বা শুশুনিয়া গ্রামে রয়েছে প্রাচীনতম শিলালিপিটি। এখানে একটি ঝর্ণার মুখে প্রাচীন এক পাথরের নরসিংহ মূর্তি দেখা যায়। এখানে রয়েছে পাথর খোদাই শিল্প যা চোখ ধাঁধানো। পাওয়া গিয়েছে প্রস্তর যুগীয় অসংখ্য প্রত্নসামগ্রী। মনে করা হয় প্রাচীনকালে রাজা চন্দ্রবর্মন এখানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। বাঁকুড়ার লাল মাটির দেশে আসলে আপনাকে আসতেই হবে শুশুনিয়া পাহাড়ে পাহাড়ে ঘেরা জঙ্গল এবং জঙ্গল ঘেরা এই সবুজ পাহাড় আপনাকে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপহার দেবে।