ভ্রমনপ্রেমিদের জন্য দুঃসংবাদ, টানা ৩ মাস বন্ধ থাকবে জঙ্গল সাফারি
Bad news for travel lovers, jungle safari will be closed for 3 consecutive months

The Truth of Bengal: যারা এই বর্ষায় ঠিক করেছিলেন ডুয়ার্সে যাবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ১৬ জুন অর্থাৎ রবিবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য। খুলবে সেপ্টেম্বর ১৫ তারিখের পর। এই ৩ মাস টানা পর্যটকরা জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কোনও সাফারি করতে পারবেন না। মন খারাপ হয়ে গেল? ভাবছেন তাহলে বুঝি বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে আর দেখা হল না আপনার! এই সমস্যারও সমাধান বের করেছে সেখানকার প্রশাসন।
অফিস আর বাড়ি, এই করে করে জীবনটা বড্ড একঘেয়ে হয়ে উঠেছে? এই একঘেয়ে জীবন থেকে একটু বিরতি পেতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন বাংলার গভীর অরণ্যগুলিতে। পাহাড়, জঙ্গল ও বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটাতে কিছুদিনের জন্য যারা ভাবছিলেন ডুয়ার্স যাবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। প্রতিবছর জুন –জুলাই মাসে বন্ধ থাকে বাংলার সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যগুলি। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ চাতক পাখির মত বৃষ্টির দিকে চেয়ে বসে থাকলেও উত্তরবঙ্গে বেশ কিছুদিন হয়েছে বর্ষার আগমন ঘটেছে। আদেও কি জানেন কেন বর্ষার সময় প্রত্যেক বছর বন্ধ করে দেওয়া হয় বঙ্গের সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ? বর্ষা বন্যপ্রাণীদের মিলন ও বংশ বৃদ্ধির সময়। তাই এই সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত গোরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য এবং নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান। এই বিষয়ে শুনে নেব গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্ধিজপ্রতীম সেন এর বক্তব্য।
আগামী ৩ মাসের জন্য বন্ধ থাকবে। রবিবার অর্থাৎ ১৬ জুন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত ন্যাশেনাল পার্ক ও ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি। শনিবার ছিল জঙ্গলে প্রবেশের শেষ দিন। আগামী ৩ মাসের জন্য বন্ধ থাকবে রাজ্যের অভয়ারণ্যগুলি। সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে বনদফতর। এই ৩ মাস পর্যটকরা বন সাফারি ও হাতি সাফারি করতে পারবেন না বলেও গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ দফতর সূত্রে খবর। এ ক্ষেত্রেও পর্যটকরা যাতে নিরাশ না হন তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। জঙ্গলে থাকা বন্যপ্রাণীদের শান্তি বিঘ্নিত না করে ভিন্ন রুটে পর্যটকদের ঘোরানোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। থাকার জন্য জাতীয় উদ্যানের ভিতরে সমস্ত বাংলো বন্ধ রাখলেও ধূপঝোরা, কালীপুর, ইকো ভিলেজ পর্যটকদের জন্য খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের আধিকারিকরা। জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে প্রবেশ না করেও ভিন্ন রুটে পর্যটকদের জঙ্গলের অনুভূতি নিতে এই অভিনব উদ্যোগ প্রশাসনের।