টেলিগ্রামে বাড়ছে চাঁদাবাজি, জুয়ার প্রকোপ! তদন্ত শুরু ভারতে
Extortion is increasing in Telegram, the prevalence of gambling! Investigation started in India

Truth Of Bengal : আজকাল ক্রাইম যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সাধারন মানুষের। তা সে খুন-ই হোক কিংবা অন্য কিছু সবেতেই নির্দ্বিধায় অপরাধীরা ক্রাইম করে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন অ্যাপ থেকে বেড়েছে নানান অপরাধমূলক কাজ। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটল।
একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, চাঁদাবাজি এবং জুয়ার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে টেলিগ্রামের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর যথাযথ তদন্ত শুরু করেছে সরকার। তদন্তের ফলাফলের উপর নির্ভর করে মেসেজিং অ্যাপেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
টেলিগ্রামের ৩৯ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও পাভেল দুরভকে অ্যাপের সংযম নীতির জন্য ২৪ আগস্ট প্যারিসে গ্রেফতার করার পরে এই ঘটনাটি ঘটে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারনে তাকে আটক করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারী কর্মকর্তা এক বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (I4C) (MHA-এর অধীনে) এবং MeitY টেলিগ্রামে P2P যোগাযোগগুলি খতিয়ে দেখছে”।
ওই কর্মকর্তা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত তদন্তটি বিশেষভাবে জুয়ার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর বেশি জোর দেবে। আজ ভারতে প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন তাই প্ল্যাটফর্মটিকে ব্লক করার সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তদন্তে যে তথ্য জানা যাবে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বর্তমানে টেলিগ্রাম থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি অপরাধমূলক কার্যকলাপের কেন্দ্রভুমি হয়ে উঠেছে। যার মধ্যে মশগুল হয়ে বহু নাগরিক তাঁদের কোটি কোটি টাকা হারাচ্ছে। সম্প্রতি, টেলিগ্রাম UGC-NEET বিতর্ক নিয়ে সংবাদের শিরোনামে ছিল। যার কারণে ছাত্ররা প্রতিবাদ করায় সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এবং এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রিপোর্ট অনুসারে, এই প্ল্যাটফর্মে প্রশ্নপত্রটি ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আইটি নিয়ম অনুসারে, টেলিগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলিকে একজন নোডাল অফিসার এবং একজন প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে এবং মাসিক কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে।
যেহেতু ভারতে টেলিগ্রামের কোন সদর দফতর নেই তাই এই সংক্রান্ত মামলায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে ভারত সরকারকে। তদন্তে নানান অসুবিধার সম্মুখীনও হতে হচ্ছে। এক আধিকারিক জানান, “আমাদের কাছে যে তথ্য আসবে তার ভিত্তিতে তদন্ত করব এবং আমাদের আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।