প্রযুক্তি

ড্রোন দিয়েই হবে বৃষ্টি! কোথায় জানেন?

Dubai

The Truth of Bengal, Mou Basu:  প্রযুক্তির উদ্ভাবন আমাদের জীবনকে এক লহমায় অনেকটাই বদলে দেয়। আধুনিক কেতাদুরস্ত স্মার্ট জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল বৈদ্যুতিক নানান গ্যাজেটস ও যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রপাতি আমাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি অনেক সহজ করে তুলেছে। যেমন, মরু শহর দুবাইয়ের প্রশাসন প্রবল গরম আর বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে ড্রোনের সাহায্যেই নামাচ্ছে কৃত্রিম বৃষ্টি।

মরু শহর দুবাইয়ে বৃষ্টি খুব কম হয়। গরমকালে প্রবল গরম পড়ে। একেক সময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। তাই গরম ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টির দিকে হাত বাড়িয়েছে দুবাই প্রশাসন। ড্রোন প্রযুক্তির সাহায্যে এই কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পদ্ধতিকে বলে ক্লাউড সিডিং। এই পদ্ধতিতে ড্রোনের সাহায্যে প্রচুর জল ছিটিয়ে প্রথমে বৃষ্টি নামানো হয়। এর থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদ্যুতিক চার্জ তৈরি হয় যা মেঘ থেকে আরো বেশি বৃষ্টি নামাতে সাহায্য করে।

২০২২ সালে দুবাই প্রশাসন ১ হাজার ঘণ্টা ধরে ৩১১ বার এরকম ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে ড্রোনের সাহায্যে কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার পরিবর্তন ঠেকাতে ‘রেন ড্রোন প্রযুক্তি’ নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ভাবে এর কতটা প্রভাব আবহাওয়ার পরিবর্তনের ওপর পড়বে তা এখনো প্রশ্নসাপেক্ষ। রেন ড্রোন প্রযুক্তি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গে দায়বদ্ধতার প্রশ্নও তুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, ভারসাম্য বজায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে এই পদ্ধতি ব্যবহার করার বিষয়। তাঁদের মতে আজকে লাভ খুঁজতে গিয়ে যেন ভবিষ্যতে আমাদের লোকসান না হয়ে দাঁড়ায়।

জিওইঞ্জিনিয়ারিং বা রেন ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে আবহাওয়ায় পরিবর্তনের বিষয়টি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষিকাজে এবং ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে তা যেমন লাভ আনতে পারে তেমনই এক জায়গায় ড্রোনের সাহায্যে কৃত্রিম বৃষ্টি নামালে যে পরিমাণে জল খরচ হবে তাতে অন্য জায়গায় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। একইভাবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই প্রযুক্তি সার্বভৌমত্বের প্রশ্নও তুলছে। কে আবহাওয়ার পরিবর্তন আনার অধিকার দিয়েছে? এই প্রশ্নও তুলছে। তবে সাময়িক ভাবে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে রেন ড্রোন প্রযুক্তি আপাতত অনেক মানুষের উপকারেই লেগেছে।

Free Access

Related Articles