অ্যাডিলেডে রোহিত ওপেন করবেন, নাকি ৫-৬ নম্বরে নামবেন? জানালেন হরভজন

Truth Of Bengal: অ্যাডিলেড টেস্ট শুরু হতে আর মাত্র হাতে গোনা দু দিন বাকি। সেই টেস্টে খেলার জন্য ইতিমধ্যে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রোহিত শর্মা। সেক্ষেত্রে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ কি হবে, তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন জাতীয় স্পিনার হরভজন সিং।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন জাতীয় স্পিনার জানান, পারথ টেস্টে ভারতীয় দলের ওপেনার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন যশস্বী ও কেএল রাহুল। প্রথম ইনিংসে তাঁরা ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে এই জুটি কিন্তু দূরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। তাঁদের জুটিতেই রেকর্ড গড়েছিল ভারত। এদিকে অ্যাডিলেড টেস্টের আগেই রোহিত দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কাজেই আমার মনে হয় রোহিত হয় যশস্বীর সঙ্গে ওপেন করুক নতুবা ও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামুক। কেননা, আমি রোহিতকে কোনওমতে পাঁচ-ছয় নম্বরে দেখতে চাই না। একান্তে যদি রোহিতকে দিয়ে ওপেনিং করাতে হয়, তাহলে কেএল রাহুলকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো উচিত বলেই জানান হরভজন সিং।
প্রাক্তন স্পিনার আরও বলেন, রোহিতের মতো ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামাটা কখনই মাননসই হবে বলে আমার মনে হয় না। কেননা আমার মনে হয় ব্যাটিং অর্ডারে সেরা চার-চারজন ব্যাটসম্যানেরই থাকা উচিত।
পারথে প্রথম টেস্টে ভারত দুই অভিজ্ঞ স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও জাদেজাকে খেলায়নি। তাঁদের পরিবর্তে ওয়াশিংটন সুন্দরকে খেলানো হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত যে একেবারে সঠিক ছিল বলেও মনে করেন হরভজন।
পাশাপাশি সুন্দরের প্রশংসা করে ভাজ্জি জানান, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলার সময়ই সুন্দর প্রমাণ করে দিয়েছিল আগামী দিনে অশ্বিনের যোগ্য ঊত্তরসূরি হিসেবে ও দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
এদিকে অশ্বিনের বয়স কি একটা বড় ফ্যাক্টর ? এই প্রসঙ্গে ভাজ্জি জানান, আসলে আমি করি না অশ্বিনের বয়স হয়েছে। অশ্বিন বয়স এখন ৩৮ বছর। ৫৮ বছর নয়। তবে হ্যাঁ, এই বয়সে একটু ক্লান্তিভাব আসে, যেটা অশ্বিনের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।
এর পাশাপাশি, আগামী আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে ভাজ্জি বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিচার করে ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল তাঁরা পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না। আর বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তকে আমি সর্বতভাবে সমর্থন করি। আমি এখনও মনে করি না পাকিস্তানে পরিস্থিতি ভারতের সেখানে গিয়ে খেলার উপযুক্ত। পাকিস্তানের জনগণ ক্রিকেট এবং ভারতকে ভালবাসেন। কিন্তু পরিস্থিতি উপযুক্ত না হলে কিছু করার নেই। এই প্রসঙ্গে খেলোয়াড়দেরকেও যদি প্রশ্ন করা হয়, তাঁরাও বলবেন আমরা আবুধাবি বা দুবাইতে গিয়ে খেলব। কাজেই পিসিবির উচিত হাইব্রিড মডেল মেনে নেওয়া।