খেলা

রক্ষণভাগের নড়বড়তার জন্যই প্রতিটা ম্যাচে ডুবতে হচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে

The Red and Yellow Brigade is having to sink in every match due to the shakiness of the defense.

Truth Of Bengal: চলতি আইএসএল-এর আসরে অস্কারের জমানায় ইস্টবেঙ্গল দূরন্ত কামব্যাক করেছে। সৌভিক, আনোয়ার-জিকসনরা ফিরে পেয়েছেন তাঁদের হারানো মানসিকতাও। দলের প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে এই ছবি দেখে আমার সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু আমাকে অবাক করেছে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের নড়বড়তা দেখে। এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন ফুটবলার অমিতাভ চন্দ্র।

একটা সময় আমিও এই দলের জার্সি গায়ে ডিফেন্ডার হিসাবে বহু ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু বর্তমান ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারদের দেখে আমার খুব কষ্ট হয়। মনে মনে ভাবি, এঁরা সত্যিই কি লাল-হলুদ জার্সি পরার যোগ্য কি না। প্রতিটা ম্যাচে এক একটা করে মিসটেক করছে, আর দলটাকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিচ্ছেন। কেন এটা হবে? এই প্রশ্নটাই বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে মাথার মধ্যে।

হিজাজি ও হেক্টর-সহ দুই সাইডব্যাকের মধ্যেও রয়েছে বোঝাপড়ার যথেষ্ট অভাব। মনে হচ্ছে যেন কেউ কাউকে চেনে না। ম্যাচের সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলে না। এর থেকে প্রমাণ হচ্ছে ডিফেন্ডারদের মধ্যেই কনফিডেন্স নেই। আমাদের সময়ে এটা হত না। দলের ডিপ ডিফেন্ডাররাই পুরো দলটাকে পিছন থেকে নেতৃত্ব দেন। ইস্টবেঙ্গল  দলে সেই নেতারও অভাব রয়েছে। তার ফলেই বিপদ বাড়ছে দলের মধ্যে।

পাশাপাশি হচ্ছে আর একটা বড় সমস্যা। সেটা হচ্ছে ডিপ ডিফেন্সের দুই ফুটবলার হেক্টর এবং হিজাজি যথেষ্ট স্লো। তার ফলে গতি সম্পন্ন কোনও স্ট্রাইকার সামনে পড়লেই এঁরা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছেন। তার প্রমাণ বার বার দেখা যাচ্ছে। এছাড়া আরও একটা সমস্যা সেটা হল ডিফেন্ডাররা কেউই নিজের পজিশনে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছেন না। টেকনিক্যালি নিয়ম হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে সামনে রেখে ডিফেন্ডাররা পিছনে দাঁড়ান। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হচ্ছে পুরোপুরি উল্টো। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।

দলের ডিফেন্ডাররা যেমন ইস্টবেঙ্গলকে ডোবাচ্ছেন, ঠিক তেমনই ডোবাচ্ছেন রেফারিরাও। বার বার ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। কেন এটা হবে? রেফারিরা সব সময়ই নিরপেক্ষ থাকবেন। অবিলম্বে এআইএফএফ কর্তাদের উচিত রেফারিং নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। না হলে ফুটবলের উন্নতির থেকে অবনতিই বেশি হবে।

Related Articles