
ইন্দুভূষণ রায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার: মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কারণ অবশ্যই একজনের ব্যাটারের দুরন্ত ব্যাটিং। তিনি হলেন নিকোলাস পুরান। হায়দরাবাদের প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের ঝড়ো ব্যাটিং বুঝিয়ে দিল তিনি ছন্দে থাকলে যে কোনও দলের বোলারদের কপালে দুঃখ আছে।
এই ম্যাচের আগেই আমি বলেছিলাম, লখনউ-র ব্যাটিং লাইনআপের দুই ব্যাটার পুরান ও মার্শকে ক্রিজে জমে ওঠার আগেই ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে নাইটদের কপালে দুঃখ আছে। ঠিক বাস্তবে হলও তাই।
চলতি আইপিএল-এর শুরু থেকেই লখনউ ব্যাটারদের মধ্যে মার্শ ও পুরান যে নিজেদের সেরা ছন্দে রয়েছেন তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের ব্যাটিংয়ের স্কোর দেখেই। সুতরাং মঙ্গলবারের ম্যাচেও সেই ধারাই বজায় রেখেছিলেন তাঁরা। ফলে যা হওয়ার তাই হল। এবং নাইট বোলারদের এত সাধারণ মানে নামিয়ে এলেন ওঁরা দুজনে তার প্রশংসা করতেই হবে। যদি এই ব্যাটারকে বরুণ বা হর্ষিত চটজলদি ফিরিয়ে দিতে পারতেন, তাহলে ম্যাচটা নাইটদের পকেটেই থাকত। কিন্তু তা আর সম্ভব হল না।
অপর দিকে নাইট ব্যাটারদের মধ্যে আমায় সবচেয়ে বেশি অবাক ম্যাচ তখনও ফিফটি-ফিফটি ছিল। সেই সময় রিঙ্কুকে কেন নামানো হল বুঝলাম না। এমন জায়গায় রিঙ্কুকে নামানো হল যখন ম্যাচটাতে আর কিছুই করার নেই। রিঙ্কু সাধ্যমত চেষ্টা করল বটে, কিন্তু হলে কি হবে ততক্ষণে ম্যাচ নাইটদের পকেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
আর একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হল নাইট কর্তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আর কতদিন আন্দ্রে রাসেলকে বয়ে বেড়াতে হবে? বয়সের ভাড়ে রাসেল যে এখন তাঁর পুরনো ব্যাটিংয়ের ছায়া মাত্র তা তো প্রতিটা ম্যাচেই বোঝা যাচ্ছে। ওই জায়গায় যদি রাসেলের ব্যাট থেকে অন্তত ১৫-২০ রান চলে আসত। তাহলেই ম্যাচে অনায়াসে জয় নিশ্চিত হয়ে যেত। কাজেই আমার মনে হয় এবার অন্তত রাসেলকে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের।
বোলারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সব দিনই যে বোলাররা ম্যাচ জেতাবেন, তা হতে পারে না। ব্যাটারদের কিছু ভূমিকা থাকে। নাইটদের প্রথম দিকে ব্যাটাররা চেষ্টা করলেন বটে, কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটাররা একেবারেই ঝুলিয়ে দিলেন। ফলে ম্যাচটা হারা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না।