
The Truth of Bengal: ইরানে গিয়েছেন রোনাল্ডো । তবে সেখানে গিয়ে সুন্দর এক উপহার ও পেয়েছেন । এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইরানের ক্লাব পার্সেপোলিসকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে রোনালদোর দল আল নাসের । রোনাল্ডো অবশ্য কোনো গোল করতে পারেননি। ইরান বাসী খুশি রোনালদোকে কাছে পেয়েই। সবচেয়ে বেশি খুশি মনে হয় ইরানের শিল্পী ফাতেম হামামি । পর্তুগিজ মহাতারকা যে তার স্বপ্নপূরন করেছেন।ইরানের শিল্পী ফাতেম হাম্মামি ছয় বছর আগে রোনাল্ডোকে ভালোবেসে তার প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে সে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘খুশি হতাম যদি রোনাল্ডো আমার কাজগুলো দেখত।’ এমন ইচ্ছা তো কতজনই করে। রোনাল্ডোর প্রতিকৃতিও তো কত শিল্পী আঁকে। কিন্তু ফাতেমের আঁকা ছবিতে এটা বিশেষত্ব আছে । ইরানের এই শিল্পী যে ছবিগুলো এঁকেছেন পা ব্যবহার করে।
তাই ইরানের এই শিল্পী যখন তার পায়ে আঁকা ছবিগুলো ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন চারদিকে বেশ আলোড়ন পড়ে যায়। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩; ফাতেমের সেই স্বপ্নপূরণ হতে অপেক্ষা পূরণ হয়েছে ছয় বছর পর। ততদিনে রোনাল্ডো একাধিক ক্লাব পরিবর্তন করেছেন । এখন তিনি রয়েছেন , আল নাসরে। ফাতেম ভাবতেই পারেন। সৌদি ক্লাবে যোগ দিয়েছেন বলেই তো রোনাল্ডো এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে ইরানে এসেছেন। মাঠের খেলার প্রতিপক্ষ রোনাল্ডোকে ইরানিরা কতটা ভালোবাসেন তার একটা নমুনা দেখা গেছে সম্প্রতি তার ইরান সফরের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতেই। রোনালদো ও আল নাসর ক্লাবের বাকি খেলোয়াড়দের বহনকারী গাড়ির পেছনে রীতিমতো ঢল নেমছিল ইরানিদের।
উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে ফাতেম ইনস্টাগ্রামে রোনলদোর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। পার্সেপোলিসের বিপক্ষে খেলতে রোনাল্ডো তেহরানে পা রাখার পরেই স্বাগতিক ক্লাবটির অফিসিয়ালরা আল নাসরের অফিসিয়ালদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। এরপর তারাই ফাতেমের সঙ্গে রোনালদোর দেখা করিয়ে দেন।রোনাল্ডোকে দেখে উচ্ছ্বসিত ফাতেম তার আঁকা রোনালদোর দুটি প্রতিকৃতি পর্তুগিজ মহাতারকাকে উপহার দেন। পর্তুগিজ মহাতারকা হাসিমুখে এই উপহার গ্রহণ করে একসঙ্গে ছবি তোলেন। ফাতেমকে এ সময় তিনি আল নাসরের জার্সি উপহার দেন। এ সময় ৩৪ বছর বয়সী মেয়েটিকে আলিঙ্গন করেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি, কপালে দেন স্নেহের চুমু।