
সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: বিরাট-ই ওর কাছে সব। বিরাট ছাড়া এই দুনিয়ায় আর কিছুই মানতে চায় না সে। দিনরাত শুধু তাঁর চোখে বিরাট, বিরাট আর বিরাট কোহলির প্রসঙ্গ। এমনই বিরাট ভক্ত হলেন বর্ধমান তরুণ ঋতুপর্ণ পাখিরা। ইতিমধ্যেই যাঁর বিরাট ভক্তির কথা ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
ঋতুপর্ণ পাখিরার নামটা শোনা মাত্রই চোখের সামনে ভেসে উঠবে, আইপিএল-র উদ্বোধনী ম্যাচের সেই দৃশ্যের কথা। যে দিন ক্রিকেটের নন্দনকাননে ব্যাট হাতে চলতি বছরের আইপিএল-র অভিযান শুরু করেছিলেন বিরাট কোহলি। আচমকাই মাঠে প্রবেশ করে প্রিয় ক্রিকেটারের পা ছুঁইয়ে প্রণাম করা। বিনিময়ে জেলও খাটতে হয়েছিল ঋতুপর্ণকে। তবে তাতেও আক্ষেপ ছিল না তাঁর।
তবে মঙ্গলবারের ঘটনা হয়ত ঋতুপর্ণ কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। অবশ্য না পারারই কথা। আইপিএল-র ফাইনাল ম্যাচ দেখতে নিজের গ্যাটের কড়ি খরচা করে সাত্রাগাঁছি থেকে ট্রেনে করে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সে। কিন্তু তবুও ম্যাচ দেখা হল না তাঁর। কারণ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আহমেদাবাদ থেকেই ঋতুপর্ণ টেলিফোনে জানায়, ‘কি বলব দুঃখের কথা। ট্রেনটা প্রথমে দুই ঘণ্টা লেট ছিল। ভেবেছিলাম সকাল বেলার মধ্যে আহমেদাবাদ পৌঁছে, নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে পৌঁছে যাব। কিন্তু সবই কপাল। কি আর বলব। ট্রেনটা ক্রমশ লেট করতে করতে প্রায় কুড়ি ঘণ্টা লেট করে দিল। অবশেষে আহমেদাবাদে যখন নামলাম, তখন রাত দেড়টা। ফলে সব শেষ। আর কি করব! তাই মন খারাপ নিয়েই বাড়ি ফিরে আসব।’ তবে এতসবের মাঝেও ঋতুপর্ণের মনে একটাই শান্তি, ‘গুরু’ কাপ জয়।